ঋতুস্রাবের কষ্ট নিয়ন্ত্রণে থাকবে? ছবি: সংগৃহীত।
ঋতুস্রাব চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তপাত, পেটে যন্ত্রণা, পেটফাঁপা, মাথা ঘোরা, পেশিতে টান লাগার মতো সমস্যায় জর্জরিত হতে হয়। তার উপর হরমোনের হেরফেরে মনমেজাজ বিগড়ে থাকে। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে এতটাই কষ্ট হয় যে, ওষুধ ছাড়া এক পা ফেলার উপায় থাকে না। ক্ষতি হতে পারে জেনেও মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে ফেলেন অনেকে। তবে আয়ুর্বেদ বলছে, সমস্যা যদি খুব গুরুতর না হয় তা হলে এই ধরনের সমস্যা বশে রাখতে কিন্তু ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখা যেতে পারে।
১) ক্যামোমাইল চা:
জরায়ুর পেশিতে ক্রমাগত সঙ্কোচন-প্রসারণের ফলে ঋতুস্রাবের সময় পেটে যন্ত্রণা হয়। এই সময় ক্যামোমাইল টি উপকারে আসতে পারে। এই চায়ের ‘অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি’ এবং ‘অ্যান্টি স্প্যাসমোডিয়্যাক’ বৈশিষ্ট্যের জন্যই ঋতুস্রাবজনিত কষ্ট অনেকটাই কমে। এই সময় ক্যাফিনযুক্ত কোনও পানীয় খেতে বারণ করা হয়। সেই দিক থেকে ক্যামোমাইল চা একেবারেই ক্যাফিনমুক্ত। এই চা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ‘গ্লাইসিন’ নামক একটি উৎসেচক তৈরি হয়, যা স্নায়ুকে নিস্তেজ করে দেয়। ফলে যন্ত্রণার অনুভূতিও কম হয়।
২) ডার্ক চকোলেট:
ঋতুস্রাব চলাকালীন এমনিতে চকোলেট খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তবে মিল্ক চকোলেটের পরিবর্তে ডার্ক চকোলেট খেলে কিন্তু ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ডার্ক চকোলেটে থাকা ম্যাগনেশিয়াম যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে।
৩) দারচিনি:
ঋতুস্রাব চলাকালীন অনেকেরই মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাত হয়। ঈষদুষ্ণ জলে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাঁদের নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না, তাঁরাও এই টোটকা করে দেখতে পারেন।
৪) মৌরি:
ঋতুস্রাবের সময়ে অনেকেরই পেটব্যথা, পেটফাঁপার সমস্যা হয়। সকলের বাড়িতেই মৌরি থাকে। সামান্য পরিমাণে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারলে সমস্যা বশে থাকবে। ঋতুস্রাবও স্বাভাবিক রাখে।
৫) ফ্ল্যাক্সসিড:
ফ্ল্যাক্সসিডে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। বিভিন্ন হরমোনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এই উপাদান। যা ঋতুস্রাবজনিত যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।