প্রথম বার পাহাড়ে যাবেন। সঙ্গে কী নেবেন আর কী নেবেন না? ছবি: পিক্সবে
গরমের দাপট বাড়তেই বেশির ভাগ মানুষ এখন পাহাড়মুখী। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা প্রিয়ঙ্কা কোনও দিন স্বচক্ষে পাহাড় দেখেনি। ঠিক হয়েছে বাঙালির চির পরিচিত দার্জিলিং দিয়েই পাহাড়যাত্রার হাতেখড়ি হবে। কিন্তু কী ভাবে যেতে হয়, কোথায় নামতে হয়— সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। বন্ধুদের কাছে গল্প শুনে মনে মনে একটা আবছা ধারণা হয়েছে। তবে তার উপর ভরসা করে মা-বাবাকে নিয়ে যাওয়া কি ঠিক হবে? সেই চিন্তাই এখন চেপে বসেছে প্রিয়ঙ্কার মাথায়। তবে প্রিয়ঙ্কা একা নন, তার মতো অনেককেই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এই বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলছেন, প্রথম বার পাহাড়ে যাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলেই ঘোরা সহজ হবে।
১) আবহাওয়া
পাহাড়ের আবহাওয়া ভীষণ খামখেয়ালি। তাই ঘুরতে যাওয়ার ব্যাগ গোছানোর আগে যেখানে যাবেন, সেই জায়গার তাপমাত্রা কেমন রয়েছে, বৃষ্টি হচ্ছে কি না, প্রচণ্ড গরম পড়ে কি না— সে সব বিষয়ে ধারণা থাকা প্রয়োজন।
২) রুট পরিকল্পনা
কোন স্টেশনে নামবেন, সেখান থেকে আগে কোথায় যাবেন, কোথায় থাকলে সেখানকার দ্রষ্টব্য সব কেন্দ্রগুলি কাছাকাছি পড়বে— সেই সব আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলে ঘুরতে যাওয়া সহজ হয়।
৩) জুতো
পাহাড়ে ট্রেকিং করার জন্য আলাদা জুতো পাওয়া যায়। কিন্তু প্রথম বার গিয়েই তো আর ট্রেকিং করবেন না। তা হলে আলাদা করে জুতো লাগবে কেন? অভিজ্ঞরা বলছেন, পাকদন্ডী পথে চলতে আরাম তো লাগবেই। তা ছাড়াও পাহাড়ে ভোর এবং রাতের দিকে খুব পড়ে। অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে বাঁচতেও সাহায্য করবে জুতো।
৪) গরমের পোশাক
গরমকালেও পাহাড়ে ঠান্ডা থাকে। তবে কোন সময়ে ঠান্ডা কেমন থাকে, তা ইন্টারনেটে খুঁজলেই পাওয়া যায়। তাই ব্যাগ ভর্তি করে বেশি পোশাক না নিয়ে এমন পোশাক নিন, যা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরা যায়। যদি বৃষ্টির সময়ে যান, তা হলে ছাতা-বর্ষাতি নিতে ভুলবেন না।
৫) বমির ওষুধ
ঘুরতে যাওয়ার দলে শিশু বা বৃদ্ধরা থাকলে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সঙ্গে রাখতেই হয়। কিন্তু প্রথম বার পাহাড়ে গেলে যে ওষুধটি একেবারে ভুললে চলবে না, সেটি হল বমির ওষুধ। কারণ, পাহাড়ি পথে প্রথম বার উঠতে বা নামতে গেলে গা গুলিয়ে, বমি পেতেই পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হাতের কাছে ওষুধ রাখাই বাঞ্ছনীয়।