অমরনাথ যাত্রায় পুণ্যার্থীদের জন্য চালু হল কিছু নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। প্রতি বছরই বহু পুণ্যার্থী অমরনাথ যাত্রা করেন। তবে এ বছর তীর্থযাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ নিয়ম চালু করা হয়েছে। এই দুর্গম যাত্রাপথে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যাবে না কয়েকটি খাবার। ‘শ্রী অমরনাথজি মন্দির বোর্ড কমিটি’ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে কথা জানিয়েছে। শিঙাড়া, হালুয়া, জিলিপি, নরম পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই যাত্রাপথে কোনও অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে না বোর্ড। তীর্থযাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অমরনাথ যাত্রায় অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় যাত্রীদের। অমরনাথ ছাড়াও অনেকেই মাঝেমাঝে এমন দুর্গম পথে ট্রেক করে থাকেন। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সব খাবার সহজে হজম হয় না। তা ছাড়া, ইচ্ছেমতো খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে। ট্রেক করতে যাওয়ার প্রাথমিক শর্তই হল শারীরিক ভাবে ফিট থাকা। তাই এমন কিছু না করাই ভাল, যাতে মাঝপথ থেকে ফিরে আসতে হয়। ট্রেকিংয়ের সময় কোন খাবারগুলি ভুলেও সঙ্গে রাখবেন না?
ভাজাভুজি
ট্রেক করতে গেলে কখনওই সঙ্গে করে ডোবা তেলে ভাজা কোনও খাবার রাখবেন না। এই ধরনের খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। যা হজমের গোলমাল ঘটায়। বেশি উচ্চতায় পেটের গোলমাল সামাল দেওয়া কিন্তু সহজ কাজ হবে না।
চিজ়
ট্রেকিংয়ে এমন খাবারই সঙ্গে রাখা জরুরি, যা অনেক দিন ভাল থাকবে এবং চটজলদি খেয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু তাই বলে চিজ় কখনও স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে না। ভাজাভুজির মতো চিজ়েও ফ্যাট রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। ফলে চি়জ় খেলে একই সমস্যা হতে পারে।
চিনিযুক্ত খাবার
যে সব খাদ্য কিংবা পানীয়ে চিনি আছে, তা ভুলেও সঙ্গে রাখবেন না। চিনি অল্পেতেই ক্লান্ত করে তোলে। চিনি খেলে ক্লান্তি আসবে বেশি। ট্রেকে গিয়ে যা একেবারেই কাম্য নয়। এমনকি, চিনির পরিমাণ বেশি এমন ফলও সঙ্গে রাখবেন না। খেয়াল রাখা জরুরি, কোনও ভাবেই যে চিনি যাতে শরীরে প্রবেশ না করে।
নরম পানীয়
তেষ্টা মেটাতে অনেকেই সঙ্গে এই ধরনের পানীয় রাখেন। এই পানীয়গুলিতে চিনি থাকে সবচেয়ে বেশি। ফলে যে কোনও সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে পেটের গোলমাল এবং গ্যাসের সমস্যা তো আছেই। সুস্থ থাকতে বরং সঙ্গে রাখুন জলের বোতল।
ট্রেকিংয়ে গিয়ে পেট ভরাতে ভরসা রাখুন ড্রাই ফ্রুটস, শুকনো খাবার, বিভিন্ন ধরনের শস্য, বিস্কুট এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল। প্রোটিনে সমৃদ্ধ আমিষ খাবারের মধ্যে শুধুমাত্র ডিম খেতে পারেন। এ ছাড়াও সঙ্গে রাখতে পারেন মুড়ি, ছোলা, বাদাম। ভারী খাবার একেবারেই ট্রেক করতে গিয়ে খাওয়া ঠিক হবে না। পেটের উপর চাপ পড়তে পারে।