প্রতীকী ছবি।
আত্রেয়ী এবং কোয়েল সেই স্কুলবেলার বন্ধু। পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করাও প্রায় একসঙ্গে। মজার বিষয় হল দু’জনেই মা হয়েছেন মাসখানেকের ব্যবধানে। মাস ছয়েক যেতে না যেতেই কোয়েল ঠিক করেছেন শিশুদের নিয়ে ঘুরতে বেরোবেন। শুধু তা-ই নয়, প্রথম যাত্রা একেবারে বিদেশ থেকেই শুরু করতে চান। অন্য দিকে আত্রেয়ীর বাড়ি থেকে প্রবল আপত্তি। কারণ দুধের শিশুকে নিয়ে এত দূর ঘুরতে গেলে প্রবল ঝুঁকি থেকে যায়। তবে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ মা-বাবারা বলছেন, শিশুকে নিয়ে যেখানেই যান না কেন, তা সব সময়েই ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারলে শরীর খারাপ হতেই পারে। দেশের মধ্যে থাকলে সে এক রকম। কিন্তু দেশের বাইরে থাকলে নানা রকম প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই। কিন্তু ঘুরতে গিয়ে কী পরিস্থিতিতে পড়বেন, তার কথা ভেবে ঘোরার পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার তো কোনও মানে হয় না। তাই ছোট শিশুকে নিয়ে যদি বিদেশে ঘুরতে যেতেই হয়, তা হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) খুব বেশি কিছু নেবেন না
শিশু হাঁটতে শিখলেও বেশির ভাগ সময়ে মা-বাবার কোলেই ঘুরতে হয় তাকে। তাই সারা ক্ষণ তার এবং সঙ্গে থাকা মালপত্রের ভার বইতে গেলে কষ্ট হতে পারে। বিদেশে কী পাওয়া যাবে আর কী পাওয়া যাবে না, সে কথা ভেবে গোটা বাড়িটাকেই সঙ্গে তুলে আনার চেষ্টা না করাই ভাল।
২) ঘুমের সময় বুঝে বিমানের টিকিট কাটুন
বিদেশযাত্রার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে সময়ও লাগে বিস্তর। মাঝে আবার বিমান পাল্টাতেও হয়। এই যাতায়াতের ধকল সামলাতে বড়রাই অনেক সময়ে হিমশিম খেয়ে যান। ছোটদের যে সমস্যা হবে, সে কথা বলাই বাহুল্য। তবে বুদ্ধি করে খুদের ঘুমের এবং খাওয়ার সময় বুঝে সেই অনুযায়ী যদি বিমানের সময় বেছে নেন। সে ক্ষেত্রে শিশুর উপর ততটা প্রভাব পড়বে না বলেই মনে হয়।
৩) জরুরি কিছু জিনিস হাতের কাছে রাখুন
ঝাড়া হাত-পায়ে থাকবেন বলে সমস্ত ব্যাগ, মালপত্র ‘মেন লাগেজ’-এ পাঠিয়ে দিলে কিন্তু হবে না। হঠাৎ যদি খুদের ডায়াপার পাল্টাতে হয়, ওয়েট টিস্যু প্রয়োজন হয়, চাইলেও সে সব পাবেন না। তাই শিশুর কাজে লাগে এমন সব কিছু ‘হ্যান্ড লাগেজ’ হিসাবে নিজের কাছে রাখার চেষ্টা করুন।
৪) প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন
শহরের বাইরে বেরোলেই অনেক সময়ে চেনা ওষুধ পাওয়া যায় না। বিদেশে যদি না পাওয়া যায়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। একই রকম অন্য ওষুধ খেয়ে নেওয়ার ঝুঁকি বড়রা নিতে পারলেও ছোটদের জন্য তা একেবারেই ঠিক নয়। তাই খুদের প্রয়োজনে লাগে এমন সব ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
৫) হাতে সময় নিয়ে বেরোন
যেখানেই যান কেন, হাতে সময় নিয়ে বেরোন। যাতায়াতের ক্লান্তি, ঠিক সময়ে বিমান ধরার উদ্বেগ এড়াতে ধীরেসুস্থে যাত্রা করুন। তা বলে আবার এত আগে বাড়ি থেকে বেরোবেন না যে বসে থাকতে থাকতে নিজেদেরই কোমর ধরে যায়।