Chhattisgarh Journalist Murder

ছত্তীসগঢ়ে সাংবাদিক খুনে ‘মূল অভিযুক্ত’ হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার, ধরিয়ে দিল ২০০ সিসি ক্যামেরা!

দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয় সাংবাদিকের দেহ। যে ঠিকাদারের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তাঁকেই হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:১৯
(বাঁ দিকে) সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর। অভিযুক্ত ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকর (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর। অভিযুক্ত ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ছত্তীসগঢ়ে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডে ‘মূল অভিযুক্ত’কে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ৩ জানুয়ারি ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয় ওই সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের দেহ। যে ঠিকাদারের বাড়ি থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই সুরেশ চন্দ্রকরকেই রবিবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নিজের গাড়িচালকের বাড়িতে লুকিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকেশকে খুনের ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ সুরেশই। ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। প্রায় ২০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং ৩০০টি মোবাইল নম্বর ‘ট্র্যাক’ করে তাঁর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, খুনের সম্ভাব্য কারণ জানতে সুরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। ছত্তীসগঢ়ের কাঁকের জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সুরেশের স্ত্রীকেও। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

সংবাদমাধ্যমে কাজ করার সুবাদে বস্তার এলাকায় বেশ পরিচিত ছিলেন ২৮ বছর বয়সি মুকেশ। পাশাপাশি, নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘বস্তার জংশন’-এর মাধ্যমে জেলার নানা রকম খবর তুলে ধরতেন তিনি। জনপ্রিয় ওই চ্যানেলের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল দেড় লক্ষেরও বেশি। গত ১ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মুকেশ। এর দু’দিন পর তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মুকেশের দাদা যুকেশও পেশায় সাংবাদিক। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি ঠিকাদারির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সুরেশের ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এনেছিলেন তাঁর ভাই। এ জন্যই খুন হতে হয়েছে তাঁকে। মুকেশের পরিবারের দাবি, দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলার পর থেকে তাঁকে নিয়মিত হুমকির মুখে পড়তে হত। কিন্তু সে সব উপেক্ষা করেই কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি।

সাংবাদিকের দেহের ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে তাঁকে নৃশংস ভাবে খুন করার ইঙ্গিত মিলেছে। মুকেশের যকৃত চার টুকরো হয়ে গিয়েছিল। পাঁচটি হাড় ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। মাথায় ১৫টি আঘাতের চিহ্নও ছিল। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এর আগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই তিন জনের মধ্যে মুকেশের এক আত্মীয়ও রয়েছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন