বেড়াতে যাওয়ার সময়ে কয়েকটি জিনিস ব্যাগে রাখলে সমস্যায় পড়তে হবে না। প্রতীকী ছবি।
বেড়াতে যেতে কে না ভালবাসে! তবে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে সবচেয়ে আগে যা জরুরি তা হল সঠিক ভাবে প্যাকিং। কোন জায়গায় যাচ্ছেন, সেখানকার আবহাওয়া ও পরিবেশ কী রকম সব কিছু মাথায় রেখেই জিনিসপত্র সঙ্গে নিতে হবে। অনেকে আবার ট্রেকিং করতেও ভালবাসেন। তার জন্যও প্রস্তুতি দরকার। প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করতে যতটা ভাল লাগবে, তেমনই বাইরে বেরিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতের কাছে না পেলে মুশকিলেই পড়তে পারেন। তাই ব্যাগ গোছানোর সময়ে পোশাক, রোজের ব্যবহারের জিনিসপত্র তো নেবেনই, সঙ্গে আরও ৫টি জিনিস থাকলে লাভই হবে।
ওয়াটার পিউরিফাইং বোতল
সঙ্গে এটি রাখতেই হবে। সে পাহাড়ে যান বা সমুদ্রসৈকতে— জল কিন্তু বিশুদ্ধই খেতে হবে। জল শোধন করে খাওয়া সব সময় জরুরি। ওয়াটার পিউরিফাইং বোতলে কার্বন ফিল্টার থাকে যা জলের ক্লোরিন, ভারী ধাতু ও যে কোনও রকম জীবাণু ছেঁকে জলকে বিশুদ্ধ করতে পারে। সব সময় জল কিনে খাওয়ার সুবিধা থাকে না। সে ক্ষেত্রে এই বোতলই সবচেয়ে বেশি কাজে আসতে পারে।
জলনিরোধী মোবাইল কেস
ঘুরতে গেলে ফোনই সবচেয়ে বড় ভরসা। যোগাযোগের মাধ্যম তো বটেই, পাশাপাশি টিকিট কাটা থেকে হোটেল বুক করা, ব্যাঙ্কের কাজ হোক বা টাকাপয়সার লেনদেন— বেশির ভাগ জরুরি কাজ মোবাইলেই করেন অনেকে। আর এখন তো অজস্র অ্যাপ রয়েছে যা ইনস্টল করা থাকলে বাইরে গিয়ে কোনও রকম সমস্যায় পড়তে হবে না। তাই মোবাইলটি যত্নে ও সুরক্ষিত রাখতে ওয়াটারপ্রুফ মোবাইল কেস সঙ্গে রাখতেই হবে।
সোলার চার্জার
খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস। রাস্তাঘাটে হঠাৎ ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলে তখন সোলার চার্জার কাজে আসতে পারে। বিদ্যুতের দরকারই পড়বে না। চার্জারটি ফোনের সঙ্গে যুক্ত করে রোদে রেখে দিতে হবে। কিছু ক্ষণ পরে দেখবেন ফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে গিয়েছে। যাঁদের খুব ঘন ঘন ভ্রমণ করতে হয় বা প্রায়ই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যান, তাঁদের জন্য এমন চার্জার আদর্শ। এমন কোনও জায়গায় যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, সেখানে সোলার চার্জারই সবচেয়ে বড় ভরসা হতে পারে।
জলনিরোধী টর্চ
জলনিরোধী টর্চ সঙ্গে রাখা খুব জরুরি। অনলাইনেও এমন টর্চ পাওয়া যায় এখন। ছোট, হাতব্যাগে রাখা যাবে এমন ওয়াটারপ্রুফ টর্চ সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
‘নয়েজ ক্যানসেলিং’ হেডফোন বা ইয়ারফোন
নাম থেকেই বোঝা যায় এই ধরনের স্পিকার ব্যবহার করলে বাইরের শব্দ কানে ঢোকে না খুব একটা। যাঁরা বিমানে বা ট্রেনে লম্বা সফর করেন, তাঁদের এই ধরনের হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করতে দেখা যায়। এমন হেডফোন ব্যবহার করলে বাইরের শব্দ খুব একটা বিরক্ত করবে না, ফলে যাত্রার সময়ে ঘুমও ভাল হবে।