দক্ষিণ গোয়া কী ভাবে উপভোগ করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
দীপাবলির সময় অভিনেত্রীদের কেউ ব্যস্ত ছিলেন পার্টিতে। কেউ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। বি-টাউনের তারকাদের কেউ কেউ আবার অবসর যাপনে বেরিয়ে পড়েছিলেন বেড়াতেও। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী মানুষী চিল্লার গিয়েছিলেন রণথম্ভোরের জঙ্গলে। অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকর বেছে নিয়েছিলেন দক্ষিণ গোয়া। সমুদ্র সৈকতের সূর্যাস্ত, অবসর যাপনের বিভিন্ন ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন ‘ভক্ষক’-এর অভিনেত্রী।
পাহাড়, নারকেল গাছ এবং সমুদ্রের মেলবন্ধনে গোয়ার সৌন্দর্য বরাবরই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। গোয়া ভাল করে ঘুরতে গেলে উত্তর এবং দক্ষিণ— এ ভাবেও ভাগ করে নিতে পারেন। দক্ষিণ গোয়া ঘুরতে গেলে কী কী করবেন?
পালোলেম বিচ
দক্ষিণ গোয়ার অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত পালোলেম বিচ। সবুজ পাহাড় এসে মিশেছে সাগরের বুকে। এই সৈকতে ভিড়ভাট্টা বিশেষ থাকে না। নির্মল পরিবেশের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছেও এই সৈকত বিশেষ পছন্দের। দিনভর সৈকতে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি জলক্রীড়াও উপভোগ করতে পারেন। কায়াকে চড়ে ভেসে পড়তে পারেন সমুদ্রের কাছেই ব্যাক ওয়াটারের বুকে। সৈকত সংলগ্ন অসংখ্য ক্যাফে, রেস্তরাঁয় বসে খানাপিনাও চালিয়ে যেতে পারেন মাঝেমধ্যে।
বাটারফ্লাই বিচ
পালোলেম থেকে নৌকা ছাড়ে বাটারফ্লাই বিচের উদ্দেশ্যে। ১৫ মিনিটের জলযাত্রায় পৌঁছনো যায় পাহাড় ঘেরা, ছোট্ট এক সৈকতে। সূর্যাস্ত দেখার জন্য রয়েছে ‘সানসেট পয়েন্ট’। এখান থেকে পাহাড়ি পথে ৫ কিলোমিটারের একটি ট্রেকিং রুটও রয়েছে। চাইলে পাহাড়ের মাথায় উঠেও সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। ভাগ্য ভাল থাকলে, ফেরার পথে আপনার সঙ্গী হতে পারে ডলফিনরাও।
কাবো দে রামা ফোর্ট
দক্ষিণ গোয়ায় ঘুরে নিতে পারেন কাবো দে রামা ফোর্ট। বহু প্রাচীন দুর্গটি ১৭৬০এর দশকে পর্তুগিজরা দখল করেছিল। এই দুর্গে এখনও রয়েছে প্রাচীন কামান। দুর্গের উপর থেকে সমুদ্রের সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর।
গোয়ান খাবার
গোয়ায় এলে স্থানীয় খাবার চেখে না দেখলে ভ্রমণে কিন্তু ফাঁক থেকে যাবে। সৈকত শহর বলেই এখানে রকমারি মাছ এবং সামুদ্রিক প্রাণী খাবার হিসাবে পাওয়া যায়। গোয়ান প্রন কারি, ফিশ কারির সুনাম দেশজোড়া। গোয়ার নিজস্ব সুরাও রয়েছে। চুমুক দিতে পারেন কাজু ফেনি এবং কোকোনাট ফেনিতেও।
মশলার বাগান
দারচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ-সহ বিভিন্ন মশলার চাষ হয় গোয়ায়। মশলার একাধিক উদ্যান রয়েছে। চাইলে সেখানেও ঘুরে নিতে পারেন।