—প্রতীকী ছবি।
অতীতে অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে ভরসা রাখতে হল বইয়ের উপর। তবে বর্তমানে বইয়ের পাশাপাশি ইন্টারনেটও তথ্যের প্রাথমিক উৎস হয়ে উঠেছে, যা সাধারণ এবং প্রযুক্তিগত প্রশ্নের তাৎক্ষণাৎ উত্তর দেয়। আজকের দিনে যে কোনও কঠিন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে বহু মানুষ দ্বারস্থ হন ‘গুগ্লবাবা’র দরবারে।
গুগ্ল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কোনও প্রয়োজনে কাউকে আশপাশে না পাওয়া গেলেও, ‘গুগ্লবাবা’ সদা প্রস্তুত থাকে আমাদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে। আমাদের এমন অনেক কিছু জানার থাকে যা নিয়ে হয়তো সমাজে প্রকাশ্যে খুব বেশি কথা হয় না। সে ক্ষেত্রেও গুগ্লের উপরেই ভরসা রাখতে হয়।
তবে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা গুগ্লে সার্চ করা একেবারেই অনুচিত। শব্দগুলি সার্চ করলে বিপদে পড়তে পারেন যে কেউ। এমনকি, জেলও খাটতে হতে পারে। আর তাই যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে ওই বিষয়গুলি নিয়ে গুগ্লে সার্চ করতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে।
বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, গুগ্লে বোমা তৈরির নির্দেশাবলি অনুসন্ধান করা অবৈধ। এ নিয়ে কেউ সার্চ করছেন কি না, সে দিকে কড়া নজর রাখে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। বিস্ফোরক বা অস্ত্র সম্পর্কিত যে কোনও সার্চের কারণে কোনও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রেফতার হতে পারেন।
বিনামূল্যে সিনেমা ‘স্ট্রিম’ করা নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়েও বিপদে পড়তে পারেন গ্রাহকেরা। অনলাইনে সিনেমা ‘পাইরেসি’তে জড়িত থাকা আইনত অপরাধ। কেউ যদি তেমনটা করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তা হলে তাঁর কারাদণ্ড এবং মোটা টাকা জরিমানা হতে পারে।
হ্যাকিং কী ভাবে শিখতে হবে, তা নিয়েও গুগ্লে খোঁজখবর চালানো উচিত নয় বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। হ্যাকিং ‘টিউটোরিয়াল’ বা হ্যাকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সফ্টঅয়্যার নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে আইনের জালে আটকে পড়তে পারেন যে কেউ। পাশাপাশি, গর্ভপাত বা শিশু পর্নোগ্রাফির মতো অবৈধ কার্যকলাপ নিয়ে অনুসন্ধান চালানোও কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।