ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তাঁকে নিয়ে সিনেমা করার কথা পরিচালক সনোজ মিশ্রের। সেই সনোজের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সনোজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এ বার কী হবে মহাকুম্ভ থেকে রাতারাতি খ্যাতি পাওয়া মালাবিক্রেতা মোনালিসা ভোঁসলের? সেই পরিস্থিতিতেই মোনালিসার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটিকে কেন্দ্র করে হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। তৈরি হয়েছে জল্পনা। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন হবু অভিনেত্রী। কিছুতেই চোখের জল থামানো যাচ্ছে না তাঁর। (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাডার ডট কম)। ঘটনাটি কবে এবং কোথায় ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে, তা-ও ওই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বাড়ির সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মোনালিসা। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যেরা। কিছুতেই কান্না থামছে না ‘ভাইরাল গার্ল’-এর। এক মহিলা আঁচল দিয়ে তাঁর চোখের জল মুছিয়ে দেন। এক জনকে মালা নিয়েও এগিয়ে আসতে দেখা যায়। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘মোনালিসাকুম্ভমেলা’ নামে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সেই ভিডিয়োটি দেখেছেন। লাইকের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়ো দেখে নেটাগরিকদের অনেকেই অনেক প্রশ্ন তুলেছেন। জল্পনাও তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, পরিচালক গ্রেফতার হওয়ার দুঃখেই কি কাঁদছেন মোনালিসা, না কি অভিনেত্রী হওয়ার পথে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ার কারণে ভেঙে পড়েছেন তিনি? যদিও তার সঠিক উত্তর এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, মহাকুম্ভ থেকে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মোনালিসা। তাঁর গায়ের শ্যামলা রং, বাদামি চোখের মণি, উজ্জ্বল হাসি বহু নেটাগরিকের মনে ঝড় তুলেছিল। তার পরেই তাঁকে নিয়ে হইচই পড়ে। নজরে পড়েন পরিচালকদেরও। ডাক পান বলিউড থেকে। সেই ডাকে সাড়াও দেন মোনালিসা। সনোজের ছবি ‘দ্য ডায়েরি অফ মণিপুর’-এ অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন মোনালিসা। এর মধ্যেই সনোজের বিরুদ্ধে ঝাঁসির এক তরুণীকে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে হেনস্থা করেছেন সনোজ। নির্যাতিতার দাবি, ২০২০ সালে টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে সনোজের সঙ্গে আলাপ তাঁর। প্রথমে ফোনে কথাবার্তা হয় দু’জনের। ২০২১ সালের ১৭ জুন সনোজ সেই নির্যাতিতাকে ফোন করে জানান, তিনি ঝাঁসি রেলস্টেশনে রয়েছেন। প্রথমে দেখা করতে রাজি হননি নির্যাতিতা। তখন সনোজ নাকি আত্মহত্যার হুমকি দেন। নির্যাতিতার দাবি, ওই হুমকির পরেই সনোজের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। সেই দিন একটি রিসর্টে নির্যাতিতাকে নিয়ে যান সনোজ। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়। নির্যাতিতার কিছু ছবি ও ভিডিয়োও নাকি সেই সময়ে তুলে রেখেছিলেন সনোজ। মুখ খুললে সেই ছবি ও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এর পরেও একাধিক বার তাঁকে সনোজ যৌন হেনস্থা করেছিলেন বলে নির্যাতিতার অভিযোগ। অবশেষে সেই নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার গ্রেফতার হন মোনালিসার ছবির পরিচালক।