Bizarre Incident

কন্যার বিয়েতে চমক সৎবাবার, উপহার পেয়ে কেঁদে ভাসাল পাত্রপক্ষ! আনন্দ পরিণত হল বিষাদে

তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর সৎবাবা কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই ওই উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এমনকি, তাঁর মায়ের সঙ্গেও কথা বলেননি। আর সেই কারণেই বিয়ের আনন্দের সুর বিষাদে বদলে যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৫৮
Gift from Step father ruined daughter’s wedding celebration

—প্রতীকী ছবি।

কন্যার বিয়ে। জব্বর উপহার দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন সৎবাবা। কিন্তু সেই উপহার পেয়ে আনন্দের সুর বদলে গেল বিষাদে। কান্না জুড়ে দিলেন পাত্রের বাড়ির সদস্যেরা। বিয়ের দিন সৎবাবার কাছ থেকে পাওয়া ওই উপহার কী ভাবে তাঁর বিয়ের দিনটিকে অস্বস্তিকর করে তুলেছিল, সমাজমাধ্যমে সে কথা নিজেই জানিয়েছেন কনে। সমাজমাধ্যম ‘রেডিট’-এ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন ওই তরুণী। উল্লেখ্য, তরুণীর বিয়ে হয়েছিল ১৮ মাস আগে। তবে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন সম্প্রতি।

Advertisement

ওই তরুণী জানিয়েছেন, বিয়ের দিন এক জন গায়ককে গোপনে ভাড়া করেন তাঁর সৎবাবা। তবে ওই গায়ককে রাঁধুনির পোশাক পরিয়ে ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকার নির্দেশ দেন। এর পর ঠিক সময়ে গান গাইতে শুরু করেন ওই রাঁধুনিরূপী গায়ক। ৩০ মিনিট গান গাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু যে হেতু কেউ বিষয়টি জানতেন না, তাই বিয়ের জন্য পরিকল্পিত সময়সূচি ঘেঁটে যায়। বরের সঙ্গে কনের নাচ করা এবং সূর্যাস্তের সময় যুগলের ছবি তোলার সুযোগও হাতছাড়া হয় তাঁদের। ওই তরুণী লিখেছেন, ‘‘পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত ছিলাম। আমাদের বিয়ের প্রতিটি মুহূর্ত আমরা একটা সময়সূচির সঙ্গে পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু সৎবাবার উপহারে সব কিছু দেরি হয়ে যায়। বরের সঙ্গে ভাল ভাবে নাচার সুযোগও পায়নি। আমরা সূর্যাস্তের ছবি তোলার সুযোগও হাতছাড়া করেছি।’’

তরুণী জানিয়েছেন যে, পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায় যখন ওই গায়ক এমন একটি গান গাওয়া শুরু করেন যা বরের প্রয়াত মায়ের শেষকৃত্যে গাওয়া হয়েছিল। মনখারাপ হয়ে যায় বরের পরিবারের। গান শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে বরের পরিবার। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন তরুণী।

তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর সৎবাবা কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই ওই উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এমনকি, তাঁর মায়ের সঙ্গেও কথা বলেননি। আর সেই কারণে বিয়ের আনন্দের সুর বিষাদে বদলে যায়। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও সন্ধ্যার পর বাকি সময় তুলনামূলক ভাবে ভালই কেটেছিল তাঁদের।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়ে ‘রেডিট’ পোস্টে তরুণী পরামর্শ চেয়েছেন, পুরো ঘটনার জন্য তাঁর কি মনখারাপ করা উচিত, না সৎবাবার উপহারের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত?

Advertisement
আরও পড়ুন