গ্র্যান্ড স্ল্যামে সানিয়া শেষ ম্যাচ খেলার পর থেকেই দেশ-বিদেশ জুড়ে অগণিত বার্তা পেয়েছেন। কিন্তু শোয়েবের বার্তা কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না। ফাইল ছবি
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিক্সড ডাবলসে হেরে গিয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যামকে বিদায় জানিয়েছেন সানিয়া মির্জা। ভারতীয় সময় সকালে শেষ হয়েছে সেই ম্যাচ। সেই ম্যাচের প্রায় দশ ঘণ্টা পরে স্ত্রী সানিয়াকে শুভেচ্ছা জানালেন শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের ক্রিকেটার জানিয়েছেন, স্ত্রীর কৃতিত্বে তিনি গর্বিত।
গ্র্যান্ড স্ল্যামে সানিয়া শেষ ম্যাচ খেলার পর থেকেই দেশ-বিদেশ জুড়ে অগণিত বার্তা পেয়েছেন। কিন্তু শোয়েবের বার্তা কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না। দু’জনের মধ্যে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক দূরত্বের জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল এই নৈঃশব্দ। অবশেষে শুক্রবার বিকেল ৭.১৭ মিনিটে টুইট করলেন শোয়েব, যিনি এখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে ব্যস্ত।
শোয়েব লিখেছেন, “খেলাধুলোর জগতে সব মহিলাদের কাছেই তুমি আশার প্রতীক ছিলে। গোটা টেনিসজীবনে যা যা অর্জন করেছ, তার জন্য অত্যন্ত গর্বিত। তুমি অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা। এ ভাবেই শক্তিশালী হয়ে আগামী দিনে এগিয়ে যাও। অবিশ্বাস্য টেনিসজীবনের জন্যে অনেক শুভেচ্ছা।”
- You are the much needed hope for all the women in sports. Super proud of you for all you have achieved in your career. You're an inspiration for many, keep going strong. Many congratulations on an unbelievable career... pic.twitter.com/N6ziDeUGmV
— Shoaib Malik (@realshoaibmalik) January 27, 2023
জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠার পরেও সানিয়াকে কোনও রকম শুভেচ্ছা জানাননি শোয়েব। সেই শুভেচ্ছাবার্তা এল শেষ ম্যাচের পর। সানিয়ার প্রতি শোয়েবের এই আবেগঘন বার্তার পরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দু’জনের সম্পর্কের বরফ কি গলতে শুরু করেছে?
খেলোয়াড় জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে ভারতীয় টেনিসের মান আরও এক বার বুঝিয়ে দিয়েছেন সানিয়া। ফাইনালের পর সানিয়া বলেছেন, ‘‘আমি কাঁদছি। এটা আসলে খুশি অশ্রু। চোখের এই জল দুঃখের নয়। চাইলে আরও গোটা দুয়েক প্রতিযোগিতা খেলতেই পারতাম। ২০০৫ সালে মেলবোর্ন থেকেই টেনিস যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল ১৮। সেরিনা উইলিয়ামসের সঙ্গে খেলেছিলাম। আমার জীবনে রড লেভার এরিনার আলাদা জায়গা রয়েছে। গ্র্যান্ড স্ল্যাম কেরিয়ার শেষ করার জন্য এর থেকে ভাল জায়গা আমার কাছে নেই।’’
ফাইনালে কোর্টের পাশে স্বামী শোয়েব মালিক ছিলেন না। তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে ব্যস্ত। দু’জনের সম্পর্কও আর আগের মতো নেই। তাঁর কথা বললেনও না। চার বছরের ইজ়হান মির্জা মালিক কিন্তু মাকে ফাইনালে সারাক্ষণ উৎসাহিত করেছে। ম্যাচের পর সানিয়ার মুখে শোনা গিয়েছে ছেলের কথা। সানিয়া বলেছেন, ‘‘আমার পরিবারের সকলে এখানে রয়েছে। কখনও ভাবিনি ছেলের সামনে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলতে পারব। সেটাও হল।’’