রোহিত শর্মা (মাঝে) ও গৌতম গম্ভীরের (ডান দিকে) সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। —ফাইল চিত্র।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল নির্বাচনে মতবিরোধ হয়েছে। দলের সহ-অধিনায়ক হিসাবে হার্দিক পাণ্ড্যকে চেয়েছিলেন কোচ গৌতম গম্ভীর। কিন্তু অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকরের পছন্দ ছিলেন শুভমন গিল। শেষ পর্যন্ত শুভমনকেই সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে। রোহিতদের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অর্থাৎ, তাঁকেও পাশে পেলেন না গম্ভীর।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, “আমি ভাবছিলাম এখনকার দল থেকে আর কাকে সহ-অধিনায়ক করা যেত। আমি ঠিক বা ভুল সিদ্ধান্তের কথা বলছি না। শুভমন গত সিরিজ়েও সহ-অধিনায়ক ছিল। টেস্টেও এই দায়িত্ব ও পালন করেছে। তাই আমার মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এই সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক।”
শুভমনকে সহ-অধিনায়ক করে ম্যানেজমেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তিনি প্রতিটি ম্যাচে খেলবেন। এই ভরসা শুভমনের দরকার ছিল বলে মনে করেন অশ্বিন। তাঁর কথায়, “সহ-অধিনায়কত্ব এমন কাউকে দেওয়া উচিত যার প্রথম একাদশে খেলা নিশ্চিত। অর্থাৎ, ম্যানেজমেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে শুভমন খেলবেই। এই ভরসা ওর দরকার ছিল। ওকে যদি ভারত ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসাবে ভাবে তা হলে এখন থেকেই কোহলি, রোহিত, বুমরাহদের কাছে ও শিখতে পারবে। এতে ওরই ভাল হবে।”
২০২৪ সালে জ়িম্বায়োয়ে সিরিজ়ে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন শুভমন। সেই সিরিজ় ভারত ৪-১ জিতেছিল। পরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক দিন ও টি-টোয়েন্টি দু’টি সিরিজ়েই সহ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরে টি-টোয়েন্টি দলে নিজের জায়গা হারান শুভমন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে তিনি নেই। ফলে সেখানে সব-অধিনায়ক করা হয়েছে অক্ষর পটেলকে। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দায়িত্ব পেয়েছেন শুভমন।