মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শতরান করে ব্যাটে চুম্বন যশস্বী জয়সওয়ালের। ছবি: আইপিএল
এ বারের আইপিএলের তৃতীয় শতরান। যশস্বী জয়সওয়াল শতরান করলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। তরুণ ওপেনারের ঘরের মাঠ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে। সেই মাঠেই শতরান করলেন তিনি। এর আগে এ বারের আইপিএলে হ্যারি ব্রুক এবং বেঙ্কটেশ আয়ার শতরান করেছিলেন।
আইপিএলের ১০০০তম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন যশস্বী। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে রবিবার ওপেন করতে নেমে শেষ ওভার পর্যন্ত রইলেন ২১ বছরের তরুণ। ২০২০ সালে ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার সময়ই সারা ফেলে দিয়েছিলেন যশস্বী। জন্ম উত্তরপ্রদেশে হলেও তাঁর ক্রিকেট শেখা মুম্বইয়েই। সেই দলের হয়েই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন যশস্বী। আইপিএলে এর আগে ৩২টি ইনিংস খেললেও শতরান এল প্রথম বার।
রবিবার ৬২ বলে ১২৪ রান করেন যশস্বী। আরশাদ খানের যে বলটিতে তিনি আউট সেটা নো বল কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। যশস্বী রিভিউ নেন। নো বল মনে হয়েছিল তাঁর। রিভিউতে দেখা যায় ফুলটস বলটি কোমরের উপরে রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই মনে করা হয়েছিল নো বল হবে। কিন্তু যশস্বীর পিছনের দিকের পা ভাঁজ করা ছিল, সেই কারণে তৃতীয় আম্পায়ার বলটিকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন। আউট হয়ে যান যশস্বী। তত ক্ষণে যদিও গোটা মাঠের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন তিনি।
That Maiden IPL Century feeling
— IndianPremierLeague (@IPL) April 30, 2023
A TON in 1️⃣0️⃣0️⃣0️⃣th IPL Match 🙌🏻@ybj_19 departs after 124 off just 62 deliveries 👏🏻👏🏻#IPL1000 | #TATAIPL | #MIvRR pic.twitter.com/rV3X7AUSfc
উত্তরপ্রদেশের সুরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন যশস্বী। দশ বছর বয়সে মুম্বই চলে আসেন তিনি। চোখে স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। দোকানে কাজ নিলেও ক্রিকেট প্র্যাকটিসের কারণে সময় পাননি। কাজ চলে যায় কিছু দিনের মধ্যেই। সারাদিন প্র্যাকটিসের শেষে ফুচকা বেচতেন পেট চালাতে। ময়দানে এক মাঠ কর্মীর সঙ্গে তাঁবুতেই রাত কাটাতেন।
তাঁর চেষ্টা বিফলে যায়নি। ২০১৫ সালে স্কুল ক্রিকেটে তাঁর ৩১৯ রানের ইনিংস এবং ৯৯ রান দিয়ে ১৩ উইকেট জায়গা করে নেয় লিমকা বুক অব রেকর্ডসে। সুযোগ চলে আসে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। ধীরে ধীরে জায়গা করে নেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও। প্রিয়ম গর্গের নেতৃত্বে ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। সেই দলের অন্যতম সফল ব্যাটার ছিলেন যশস্বী। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করতেই হবে, এমন জেদ ছিল। কোচ জ্বালা স্যারও সেটাই বলেছিলেন। সেই চেষ্টাই করে গিয়েছি। মাথায় রেখেছিলাম যে, ধারাবাহিক থাকতে হবে। আমার নিজের মধ্যেও ভাল করার, দেশের হয়ে সাফল্য ছিনিয়ে আনার বাড়তি তাগিদ ছিল।”
এই জেদ এখনও এগিয়ে নিয়ে যায় যশস্বীকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন এখনও পর্যন্ত। শতরান রয়েছে ন’টি। ১৮৪৫ রান করে ফেলেছেন। গড় ৮০.২১। লিস্ট এ ক্রিকেটে ৩২টি ম্যাচে ১৫১১ রান করেছেন। পাঁচটি শতরান রয়েছে সেখানেও। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর প্রথম শতরান।