Shreyas Iyer

মুম্বইয়ের মাঠে ১২ বছর পরে জয়, হার্দিকদের হারিয়েও আনন্দ নেই নাইট অধিনায়ক শ্রেয়সের, কেন

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১২ বছর পরে জিতেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কঠিন লড়াই করে জিতেও আনন্দ করতে পারছেন না কেকেআরের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। কেন?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৪ ০০:০৬
cricket

শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।

আইপিএলের ১৬ বছরের ইতিহাসে এর আগে মাত্র এক বারই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জিততে পেরেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১২ সালে। শুক্রবার ১২ বছর পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়েছে কেকেআর। কঠিন লড়াই করে জিতেও আনন্দ করতে পারছেন না কেকেআরের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। কেন?

Advertisement

শ্রেয়সের মাথায় রবিবারের ম্যাচ। মাঝে মাত্র এক দিন। তাই আনন্দ করার উপায় নেই। ম্যাচ শেষে কেকেআর অধিনায়ক বলেন, “দুর্দান্ত জয়। কিন্তু এই জয়ের স্বাদ ভাল ভাবে নিতে পারব না। কারণ, এক দিন পরে আবার খেলতে নামতে হবে। তাই প্লেয়ারদের বিশ্রাম দরকার।” তিনি নিজেও এই ম্যাচের আগে জানতেন না যে ওয়াংখেড়েতে কেকেআর এর আগে মাত্র এক বার জিতেছে। শ্রেয়স বলেন, “আমি নিজেও জানতাম না যে এই মাঠে কেকেআর গত ১২ বছর জিততে পারেনি। আমি নিজে মুম্বইয়ের ছেলে। এটা আমার ঘরের মাঠ। তাই এই জয়ের স্বাদ আরও বেশি।”

৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে মণীশ পাণ্ডেকে নামায় কেকেআর। মণীশ ও বেঙ্কটেশ আয়ারের জুটি দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যায়। জয়ের পরে তাই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন শ্রেয়স। তিনি বলেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম কাজে লেগেছে। মণীশ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ওই সময় কী ভাবে ব্যাট করা উচিত সেটা ও ভাল জানত। প্রথম দিন থেকে মণীশ খেলতে চেয়েছে। এই ম্যাচে সেই সুযোগ পেয়েছে। সেটা কাজে লাগিয়েছে। সঙ্গে বেঙ্কটেশকে পেয়েছে মণীশ। বেঙ্কটেশও দেখিয়েছে ও কী করতে পারে।”

দলের বোলিং আক্রমণ নিয়েও খুব খুশি শ্রেয়স। তিনি বলেন, “১৬৯ খুব বেশি রান না হলেও দলের ছেলেদের উপর আমার ভরসা ছিল। জানতাম আমরা ওদের আটকাতে পারব। দু’জন স্পিনারের কথা আর কী বলব? আমি ওদের দেখে অবাক হয়ে যাই। এই উইকেটে যে ভাবে বল করল তা অসাধারণ। স্টার্কও নিজের পুরনো রূপে ফিরল।”

এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ৭টি জিতল কেকেআর। আর একটি জিতলেই প্লে-অফ পাকা। তাই এই ম্যাচে জয় খুব দরকার ছিল বলে জানিয়েছেন শ্রেয়স। তিনি বলেন, “স্টার্ককে বলছিলাম এই জয় কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে হারলে পরের চারটে ম্যাচে দুটো জিততে হত। তার থেকে এখন অনেক ভাল জায়গায় আছি।”

আরও পড়ুন
Advertisement