এ বারের আইপিএলে মাঠে নেমেই নতুন নজির গড়লেন লখনউয়ের এক ক্রিকেটার। —ফাইল ছবি।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে মাঠে নেমেই নতুন নজির গড়লেন জয়দেব উনাদকাট। সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির হয়ে আইপিএল খেলা হয়ে গেল বাঁহাতি জোরে বোলারের। একসঙ্গে ছ’জন ভারতীয় ক্রিকেটারের নজির ভাঙলেন তিনি।
যুবরাজ সিংহ, রবিন উথাপ্পা, ইরফান পাঠান, পার্থিব পটেল, ইশান্ত শর্মা এবং দীনেশ কার্তিক আইপিএল খেলেছেন ছ’টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির হয়ে। শনিবার লখনউয়ের হয়ে মাঠে নেমে তাঁদের ছাপিয়ে গেলেন উনাদকাট। যদিও আইপিএলে সব থেকে বেশি দলের হয়ে খেলার নজির রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের। তিনি মোট ন’টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির হয়ে আইপিএল খেলেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে উনাদকাটই আইপিএলে সব থেকে বেশি দলের প্রতিনিধিত্ব করলেন।
২০১০ সালে প্রথম বার কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে আইপিএল খেলেছিলেন উনাদকাট। ২০১২ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, ২০১৭ সালে রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টস, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজস্থান রয়্যালস, ২০২২ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল খেলেছিলেন বাঁহাতি জোরে বোলার। রাজস্থান তাঁকে ১১.৫ কোটি টাকা দিয়ে নিলামে কিনেছিল। এখনও পর্যন্ত সেটাই তাঁর পাওয়া সব থেকে বেশি দাম।
উনাদকাটের নেতৃত্বে এ বছর সৌরাষ্ট্র রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ইডেন গার্ডেন্সে হারিয়েছে বাংলাকে। তাঁর নেতৃত্বে রঞ্জি ফাইনালে মনোজ তিওয়ারিদের বিরুদ্ধে প্রায় একপেশে জয় পেয়েছিল সৌরাষ্ট্র। সেই অর্থে ভারতসেরা অধিনায়ক উনাদকাট।
শনিবারের ম্যাচে লোকেশ রাহুলের দলের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মাঠে নামলেও ভাল পারফরম্যান্স করতে পারেননি উনাদকাট। ৩ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়েছেন। যদিও তাঁর দল শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে জয় পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত আইপিএলের ৯২টি ম্যাচ খেলেছেন উনাদকাট। নিয়েছেন ৯১টি উইকেট। তাঁর সেরা বোলিং ২৫ রানে ৫ উইকেট। দু’বার ৫ উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে তাঁর। ব্যাট হাতে করেছেন ১৬৪ রান।
পাঁচটি করে ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির হয়ে আইপিএল খেলার নজির রয়েছে আশিস নেহরা, ময়ঙ্ক অগ্রবাল এবং জেসন হোল্ডারের।