প্রত্যাবর্তন: মাদ্রিদে ফাইনালে সিন্ধু। ছবি: পিটিআই।
স্বমেজাজে পি ভি সিন্ধু। চমকে দিলেন স্পেন মাস্টার্স ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে উঠে। শনিবার মাদ্রিদে ভারতীয় তারকার ফাইনালে উঠতে লাগল ৪৮ মিনিট। সিঙ্গাপুরের ইয়েও জিয়া মিনকে হারালেন ২৪-২২, ২২-২০। স্কোরলাইনে স্পষ্ট, গোপীচন্দের প্রাক্তন ছাত্রী কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করেছেন।
হালফিলে একের পর এক প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হচ্ছিলেন সিন্ধু। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশের বাইরে চলে যান তিন দিন আগে। এবং সেটা ২০১৬-র নভেম্বর থেকে এত বছর প্রথম দশে থাকার পরে। তবে স্পেন মাস্টার্স ফাইনালে ওঠার অর্থ প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নের প্রথম দশে ফেরা সময়ের অপেক্ষা!
মাদ্রিদে কোয়ার্টার ফাইনালেই বোঝা গিয়েছিল, চাকা ঘুরছে! তার আগে শেষ ষোলোয় দু’টি অলিম্পিক্স পদকজয়ী এক ঘন্টারও কম সময়ে হারান ইন্দোনেশিয়ার পুতরি কুসুমা ওয়ারদানিকে। শেষ আটের ম্যাচ ২১-১৪, ২১-১৭ জেতেন ডেনমার্কের মিয়া ব্লিকফেল্টের বিরুদ্ধে। শেষ চারের লড়াইয়ে মিনের বিরুদ্ধে আগে চার ম্যাচ খেলে প্রতিবারই জিতেছিলেন সিন্ধু। এ দিন প্রথম গেমে ১৫-২০ পিছিয়েও অবিশ্বাস্য ভাবে ম্যাচে ফেরেন। তাও সাত বার গেম পয়েন্ট বাঁচিয়ে! প্রত্যাঘাতের বেশির ভাগ পয়েন্ট জেতেন মিনের শরীর লক্ষ্য করে স্ম্যাশ করে। এবং প্রথম বার গেম পয়েন্ট পেয়েই কাজে লাগান।
দ্বিতীয় গেমেও সিন্ধু শুরুতে ১-৪ পিছিয়ে পড়েন। সেখান থেকে ১১-৬ এগিয়ে যান। মিন অবশ্য তার পরেও ম্যাচে ফেরেন অসাধারণ কিছু ড্রপ শটের সৌজন্যে। স্কোর ১৭-১৭ হয়ে যায়। মনে হয়েছিল, খেলা তিন গেমে যাচ্ছে। সেটা অবশ্য হয়নি। তবে মিন দু’বার গেম ও ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচান। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। ডাইভ দিয়েও সিন্ধুর রিটার্ন বাইরে ফেরানোয়। তৃতীয় বার ম্যাচ পয়েন্ট জিততে ভুল করেননি ভারতীয় তারকা।
সিন্ধুর শেষ বড় সাফল্য গত বছরের কমনওয়েলথ সোনা। স্পেনে সোনার জন্য তাঁকে খেলতে হবে শীর্ষ বাছাই ক্যারোলিনা মারিন ও ইন্দোনেশিয়ার গ্রেগোরিয়া তানজুং ম্যাচে বিজয়ীর সঙ্গে। ফাইনালে মারিন খেলা মানে লড়াই এক বনাম দুই! ভারতীয় তারকা এখানে দ্বিতীয় বাছাই। মারিনও ছন্দে আছেন। তার উপর তিনি স্থানীয় মেয়ে।
চোট সারিয়ে ফিরে সিন্ধু ইন্ডিয়ান ওপেন, মালয়েশিয়া ওপেন এবং অল ইংল্যান্ড- পর পর তিন জায়গায় প্রথম রাউন্ডে হেরেছেন। সুইস ওপেনেও খেতাব ধরে রাখতে পারেননি। সেখান থেকে স্পেনে চ্যাম্পিয়ন হলে আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে ফেলবেন।