ডেভিড ওয়ার্নার। ছবি: আইপিএল
গত আইপিএলের মাঝ পথে ছেঁটে ফেলায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বদলা নিলেন, এমন তত্ত্ব মানতে নারাজ দিল্লি ক্যাপিটালসের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার আক্রমণাত্মক ব্যাটার হিসেবেই পরিচিত। সেই ঘটনার পর ওয়ার্নার শুধু ছন্দেই ফেরেননি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন।
হায়দরাবাদ তাঁকে কার্যত তাড়িয়ে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথম তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ওপেনার। খেলেছেন বিস্ফোরক ইনিংস। ৫৮ বলে অপরাজিত ৯২ রানের দুরন্ত ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১২টি চার এবং ৩টি ছয় দিয়ে। তাঁর অনবদ্য ইনিংসই বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয়। ওয়ার্নার অবশ্য এই ইনিংসকে গত বছরের অপমানের বদলা হিসেবে দেখছেন না।
দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি ওয়ার্নার। এই ম্যাচকেও আরও পাঁচটা ম্যাচের মতোই দেখছেন তিনি। ম্যাচের পর ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘আমার কোনও বাড়তি অনুপ্রেরণার প্রয়োজন নেই। আমরা সকলেই দেখেছি অতীতে কী হয়েছে। কিন্তু এটা আরও একটা ভাল জয় ছাড়া কিছু নয়।’’
ওয়ার্নার প্রশংসা করেছেন সতীর্থ রভমান পাওয়েলের ব্যাটিংয়েরও। মজা করে তিনি বলেছেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত থাকতে চেয়েছিলাম পাওয়েলকে সাহায্য করার জন্য। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করাটা আমার কাছে বিশেষ কিছু নয়। কিন্তু পাওয়েল সোজা ব্যাটে বড় শট খেলছিল। হায়দরাবাদকে বাধ্য করেছিল ফিল্ডারদের দূরে সরিয়ে দিতে। অন্য দিনের মতোই খেলছিলাম। ও একটা ছয় মারল ১১৭ মিটারের! নিজেকে বুড়ো মনে হচ্ছিল। আমাকে জিমে আরও সময় কাটাতে হবে। আমি তো মাত্র ৮৫ মিটার দূরে মারতে পেরেছি। আশা করি অন্তত একটা ১০০ মিটারের ছয় মারতে পারব কোনও একটা ম্যাচে।’’
উইকেট নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্নার। তাঁর মতে উইকেট বেশ ভাল ছিল। ২০০ রান হওয়ার মতোই উইকেট। পাওয়েল বড় শট নিতে পারছিলেন বলেই একটা সময় তাঁকে বেশি ব্যাটিং করার সুযোগ দেন তিনি। উইকেট নিয়ে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘এখানকার উইকেট দেখলে আপনি আনন্দ পাবেনই। সত্যিই ভাল উইকেট। এরকম উইকেটে প্রথমে বা পরে ব্যাট করা কোনও বিষয় নয়। এখানে আমার কিছু সাফল্য রয়েছে। জানতাম ঠিক মতো শট খেলতে পারলে ভাবতে হবে না। ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজেও মারার চেষ্টা খুব একটা করিনি। শুধু বলের উপর চোখ রেখেছি আর ব্যাট চালিয়েছি। ভাগ্য ভাল কিছু শট বাউন্ডারিতে পৌঁছেছে এবং আমি পেরেছি।’’