চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম ওভারেই আউট হন ওয়ার্নার। দীপক চাহারের দ্বিতীয় বলেই স্কোয়্যার কাট করতে গিয়েছিলেন তিনি। ছবি: পিটিআই
আইপিএলের অন্যতম সফল ব্যাটার তিনি। কিন্তু লজ্জার নজিরও তাঁর নামের পাশে রয়েছে। ডেভিড ওয়ার্নার বুধবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। তার পরেই লজ্জার নজির গড়ে ফেলেছেন তিনি। ছুঁয়েছেন ফাফ ডুপ্লেসি, তিলকরত্নে দিলশান, হার্শেল গিবসের মতো ব্যাটারদের।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম ওভারেই আউট হন ওয়ার্নার। দীপক চাহারের দ্বিতীয় বলেই স্কোয়্যার কাট করতে গিয়েছিলেন তিনি। বলে-ব্যাটে ঠিকঠাক হয়নি। পয়েন্টে দাঁড়ানো অজিঙ্ক রাহানে ওয়ার্নারের লোপ্পা ক্যাচ ধরেন। শূন্য রানে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩৫৩টি ম্যাচ খেলেছেন ওয়ার্নার। এই নিয়ে ২৩টি ম্যাচে শূন্য রান করলেন তিনি। গিবস, দিলশান, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, লুক রাইট, ডুপ্লেসি, দীনেশ কার্তিক এবং ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ানের নজির রয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ২৩টি রান শূন্য করেছেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি বার শূন্য করেছেন রশিদ খান এবং সুনীল নারাইন। দু’জনেই ৩৯ বার করে।
আইপিএলে ১১ বার শূন্য রানে আউট হলেন ওয়ার্নার। এই প্রতিযোগিতায় খেলা বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সুনীল নারাইন (১৫), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১৪) এবং রশিদ খানের (১২) বেশি শূন্য রয়েছে।
তবে ওয়ার্নারের ভাল নজিরও রয়েছে। তিনি আইপিএলে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বিরাট কোহলি এবং শিখর ধাওয়ানের পরেই রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আইপিএলে প্রথম ব্যাটার হিসাবে ৫০টি অর্ধশতরান করেছেন। পরে ধাওয়ান এবং কোহলিও একই কাজ করে দেখান।
দিল্লির হয়ে এ বার ১১টি ম্যাচে ৩৩০ রান করেছেন ওয়ার্নার। গড় ৩০ এবং স্ট্রাইক রেট একশোর সামান্য বেশি। চারটি অর্ধশতরান করলেও দু’টি শূন্য রয়েছে।