গোলের পর মিরজালোল কোসিমভকে ঘিরে উচ্ছ্বাস মহমেডান ফুটবলারদের। ছবি: আইএসএল।
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই এগিয়ে গেল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন শিবিরকে আইএসএল জয়ের পথে আরও এগিয়ে দিল কলকাতার আর এক প্রধান মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শনিবার বেঙ্গালুরু এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল সাদা-কালো ব্রিগেড। এই নিয়ে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় জয় পেল মহমেডান। ম্যাচের এক মাত্র গোলটি ৮৮ মিনিটে মিরজালোল কোসিমভ।
অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও গুটিয়ে থাকেননি মহমেডান ফুটবলারেরা। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন তাঁরা। সেই সাহসে ভর করেই আইএসএলে এক রকম অঘটন ঘটিয়ে ফেলল মহমেডান। বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত মহমেডান। গোলের বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সাদা-কালো ফুটবলারেরা। মহমেডানের জয়ের ফলে ১৫ ম্যাচে ২৭ পয়েন্টেই আটকে থাকল বেঙ্গালুরু। অন্য দিকে, ডার্বির আগে ১৪ ম্যাচ খেলে মোহনবাগানের সংগ্রহ ৩২ পয়েন্ট। ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারলে আইএসএলের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরুর থেকে আট পয়েন্টে এগিয়ে যাবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ডার্বি শুরুর আগে বেঙ্গালুরুর হার নিশ্চিত ভাবেই বাড়তি সুবিধা করে দিল মোহনবাগানকে। অন্য দিকে এ দিনের জয়ের সুবাদে ১৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে উঠে এল মহমেডান।
ম্যাচের শুরু থেকেই সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে সমানে সমানে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন মহমেডান ফুটবলারেরা। রক্ষণের দুর্বলতা যে এই ম্যাচে একদম বোঝা যায়নি, তা নয়। বরং ম্যাচে বেঙ্গালুরু ফুটবলারদের দাপট ছিল তুলনায় বেশ বেশি। অধিকাংশ সময় মহমেডানের অর্ধেই বল ছিল। তবু স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতাই তাদের পিছিয়ে দিয়েছে এই ম্যাচে। বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলারেরা। খেলার গতির কিছুটা বিপরীতেই ৮৮ মিনিটে ফ্রিকিক পায় মহমেডান। ফ্রিকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কোসিমভ। সেই গোলেই এসেছে বহু কাঙ্খিত জয়।
গত পাঁচটি ম্যাচে একটিও গোল করতে পারেননি মহমেডান ফুটবলারেরা। এ দিন সেই বহুকাঙ্খিত গোলই তিন পয়েন্ট এনে দিল ঘরে। শেষ দু’টি ম্যাচে ওড়িশা এফসি এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছিল মহমেডান। এর আগে চেন্নাইয়ন এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচেই এক মাত্র জয়টি পেয়েছিল সাদা-কালো শিবির।