ইউরো কাপের গ্রুপ ‘বি’তে শীর্ষে ফ্রান্স। —ফাইল চিত্র
ইউরো কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে দ্বিতীয় জিতল ফ্রান্স। পর পর দু’বার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা কিলিয়ান এমবাপেরা আয়ারল্যান্ডের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়েও বড় ব্যবধানে জিততে পারল না। একটি মাত্র গোল করেন বেঞ্জামিন পাভার্ড। সেই গোলই জয় এনে দিল তাঁদের। শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষক মাইক মেগনান না থাকলে ম্যাচটি ড্র হয়ে যেতে পারত।
বিশ্বকাপের পর অবসর নেন হুগো লরিস। তাঁর জায়গায় অধিনায়ক করা হয় এমবাপেকে। অধিনায়ক হিসাবে প্রথম ম্যাচে দু’টি গোল করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে যদিও গোল পেলেন না। নেদারল্যান্ডসকে প্রথম ম্যাচে ৪-০ গোলে হারানো ফ্রান্স, দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে মাত্র একটি গোল দিয়েছে। খেলা শেষ হওয়ার ৩০ সেকেন্ড আগে ফ্রান্সকে বাঁচান মেগনান। লরিস অবসর নেওয়ার পর ফ্রান্সের দুর্গ রক্ষার শেষ প্রহরী তিনি। আয়ারল্যান্ডের নাথান কলিন্সের শট বাঁচান মেগনান। শেষ মুহূর্তে সেই শট না বাঁচালে ম্যাচ জেতাই হত না ফ্রান্সের। গোলদাতা পাভার্ড বলেন, “আমার চোখে এই ম্যাচের সেরা মেগনান। ও যদি শেষ মুহূর্তে গোলটা না বাঁচাত তা হলে জিততেই পারতাম না আমরা।”
অন্য ম্যাচে নেদারল্যান্ডস দাপটের সঙ্গেই জিতল। ফিফার ক্রমতালিকায় ২০০ নম্বরে থাকা জিব্রালটরের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জিতল নেদারল্যান্ডস। আগের ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ৪ গোল খাওয়া মেমফিস দেপাইরা এই ম্যাচে শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছিলেন। ২৩ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন দেপাই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করেন নাথান একে। এর পরেই লাল কার্ড দেখেন জিব্রালটরের লিয়াম ওয়াকর। বিপক্ষ ১০ জনে খেলায় আরও সুবিধা হয় নেদারল্যান্ডসের। ৮২ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করেন একে।
ইউরো কাপের গ্রুপ ‘বি’তে শীর্ষে ফ্রান্স। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট রয়েছে তাদের। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মিশর। একই পয়েন্ট গোল পার্থক্যে পিছিয়ে নেদারল্যান্ডস তৃতীয় স্থানে। আয়ারল্যান্ড এবং জিব্রালটর এখনও কোনও পয়েন্ট পায়নি।