স্বপ্ন: নবীনদের নিয়ে আশাবাদী সুনীল। ছবি: এআইএফএফ ।
দু’দশকের বর্ণোজ্জ্বল ফুটবল জীবনে তিনি দেশের জার্সিতে এখনও পর্যন্ত করেছেন ৮৪ গোল। স্পর্শ করেছেন হাঙ্গেরির কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে। ৩৮ বছরের সুনীল ছেত্রী জানিয়ে দিলেন, তিনি আগের মতোই গোল করার জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে থাকেন।
ইম্ফলে চলতি ত্রিদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় আজ, মঙ্গলবার ভারত খেলবে কিরঘিজ়স্তানের বিরুদ্ধে। তার আগে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনীল বলেছেন, ‘‘গোলের খিদে রয়ে গিয়েছে আগের মতোই। কিরঘিজ় ম্যাচেও তার পরিবর্তন হবে না।’’ যোগ করেন, ‘‘খুব কম ফুটবলার রয়েছে যাদের গোলের খিদে আমার মতো এখনও নয়। আমার মতো গোল খিদে কারও নেই।’’
সেখানেই না থেমে সুনীল আরও বলেছেন, ‘‘অফসাইড অথবা পেনাল্টি থেকে গোল করা ফুটবলের অঙ্গ। কিন্তু তা নিয়ে বেশি চিন্তা না করে পরের ম্যাচের জন্য মনঃসংযোগ করতে হবে। এ ভাবেই কিন্তু ভুলের মাত্রা কমে আসে এবং এগিয়ে চলার কাজ অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।’’
মণিপুরের পরিবেশ এবং মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি দেখে আপ্লুত সুনীল। তিনি মনে করেন, এই রাজ্যে ফুটবলের পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে পারলে লাভবান হবে ভারতীয় ফুটবল। সুনীলের মন্তব্য, ‘‘মায়ানমার ম্যাচে দর্শকরা দারুণ ভাবে সমর্থন করেছিলেন আমাদের। দ্বিতীয় বার এই রাজ্যে খেলতে এলাম এবং আবারও অনুভব করছি, কেন এখানকার মানুষ ফুটবল নিয়ে এতটা আগ্রহী। ইম্ফলের ফুটবল পরিকাঠামোর উন্নতি হলে উপকৃত হবে ভারতীয় ফুটবলই।’’ যোগ করেছেন, ‘‘মাঠে আসার সময় বাসের চারপাশে অনেক সমর্থককেই দেখতে পাই। গ্যালারিতে মায়ের সঙ্গে ছোট্ট মেয়েকেও বসে থাকতে দেখেছি। ফুটবলের পক্ষে এর চেয়ে ভাল বার্তা আর কিছু হতে পারে না।’’
আগামী বছর এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বের লড়াই শুরু হবে। তার আগে এই ধরনের ম্যাচ থেকেই নতুন প্রতিভারা উঠে আসবেন বলে মনে করেন সুনীল। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছি। কিন্তু সেটাও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তাই দেখে যেতে চাই ভারতীয় ফুটবলে নতুন তারকাদের উত্থান।’’ যোগ করেন, ‘‘সুরেশ, জিকসন, ইয়াসেরের মতো নতুন তারকাদের আগমন ঘটেছে। ওরাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে ফুটবলে আসতে। এই রাজ্য থেকেই আরও ফুটবলার উঠে আসবে।’’