নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় স্থানে শেষ করল জার্মানি। ছবি: পিটিআই
কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে জিতলেও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে জার্মানি। সেই দলের অন্যতম তারকা ফুটবলার থমাস মুলার হয়তো অবসরের কথা ভাবছেন। ম্যাচ শেষে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় স্থানে শেষ করল জার্মানি। প্রথম ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল তারা। এর পর স্পেনের বিরুদ্ধে ড্র করে জার্মানি। শেষ ম্যাচে কোস্টা রিকাকে হারালেও ভাগ্য সঙ্গে ছিল না মুলারদের। জাপান হারিয়ে দেয় স্পেনকে। তাতেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় জার্মানি। গোল পার্থক্যে স্পেনকে টপকাতে পারেনি তারা। সেই ম্যাচের পরেই মুলার বলেন, “এটাই যদি শেষ ম্যাচ হয়, তা হলে বলব আমি খুশি। একসঙ্গে খুব ভাল সময় কাটালাম আমরা। প্রতিটা ম্যাচে আমি নিজের হৃদয় দিয়ে খেলেছি। ভালবেসে খেলেছি।”
গত বারও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল জার্মানি। কাতারে তাই তাদের নিয়ে অনেক বেশি প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল গত বারের প্রতিশোধ নেবে তারা। মুলার বলেন, “এই ফল আমাদের জন্য খুবই তিক্ততা রেখে গেল। মনে হচ্ছে আমাদের কোনও শক্তি নেই।” কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই দাপট দেখানো শুরু করে জার্মানি। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল তারা। ১০ মিনিটের মাথায় হেডে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন সার্জ ন্যাব্রি। গোল করার পরেও ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া ছিলেন মুলাররা। কোস্টা রিকার অর্ধেই পুরো খেলা হচ্ছিল। রক্ষণে নেমে গিয়েছিল কোস্টা রিকার পুরো দল। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে কোস্টা রিকা। জার্মানির গোলের দিকে এগোতে থাকে তারা। ফলও মেলে। ৫৮ মিনিটের মাথায় তাজেদার গোলে সমতা ফেরায় কোস্টা রিকা। গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় জার্মানি। কারণ গোল করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না তাদের। কিন্তু খেলার গতির বিপরীতে ৭০ মিনিটের মাথায় ন্যুয়েরের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় কোস্টা রিকা।
খেলা সেখানেই শেষ হয়ে গেলে জার্মানির পাশাপাশি স্পেনও ছিটকে যেত বিশ্বকাপ থেকে। কিন্তু সেটা হল না। ৭৩ মিনিটে সমতা ফেরালেন কাই হাভের্ৎজ। ৮৫ মিনিটের মাথায় আবার গোল করলেন তিনি। ৮৯ মিনিটে দলের চতুর্থ গোল করলেন নিকলাস ফুলকুর্গ। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতল জার্মানি। বিশ্বকাপে কোনও দিন জার্মানি এত লজ্জার মধ্যে পড়েনি। বিশ্বকাপের অন্যতম সফল দল তারা। চার বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শুধু তাই নয়, রানার্স-আপ হয়েছে চার বার। তৃতীয় স্থানও পেয়েছে চার বার। অর্থাৎ সব মিলিয়ে আট বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে তারা। আর কোনও দেশের এই নজির নেই। সেই জার্মানিকেই পর পর দু’বার বিদায় নিতে হচ্ছে বিশ্বকাপের গ্রুপ থেকে।