Lionel Messi

কোয়ার্টারে ওঠার পর মেসির মুখে আলাদা করে দুই সতীর্থের কথা, কাদের খেলায় খুশি তিনি?

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে লিয়োনেল মেসি নিজে গোল করলেও তাঁর মুখে দুই সতীর্থের কথা। মেসি মনে করেন, দলের দুই সতীর্থ না থাকলে তাঁর গোলের কোনও অর্থ থাকত না। কাদের নাম করেছেন মেসি?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:১৪
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লিয়োনেল মেসি নিজে গোল করলেও তাঁর মুখে দুই সতীর্থের কথা।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লিয়োনেল মেসি নিজে গোল করলেও তাঁর মুখে দুই সতীর্থের কথা। ছবি: রয়টার্স

শনিবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। জিতেছে ২-১ গোলে। কোয়ার্টারে তারা খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে লিয়োনেল মেসি নিজে গোল করলেও তাঁর মুখে দুই সতীর্থের কথা। মেসি মনে করেন, দলের দুই সতীর্থ না থাকলে তাঁর গোলের কোনও অর্থ থাকত না। কাদের নাম করেছেন মেসি?

ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেছেন, “আমরা প্রত্যেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভাল খেলেছি। তবে আলাদা করে কারওর কথা বলতে বললে, আমি নিকোলাস ওটামেন্ডি এবং ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর নাম করব।”

Advertisement

কেন এই দুই সতীর্থের নাম করেছেন তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মেসি বলেছেন, “প্রতিটা ম্যাচেই ওরা ভাল খেলছে। দলের প্রধান ফুটবলার হয়ে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও আমাদের রক্ষণ দুর্দান্ত খেলল। প্রত্যেকে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। কারণ প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দিয়েছি। কিন্তু আলাদা করে ওটামেন্ডি এবং রোমেরোর নাম করতেই হবে। গত বিশ্বকাপের পর থেকেই ওরা দেশের হয়ে খেলার সময় প্রচুর পরিশ্রম করছে।”

অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর মেসি বলেছেন, ‘‘দুর্দান্ত অনুভূতি হচ্ছে। সমর্থকদের সঙ্গে দারুণ একটা মুহূর্ত ভাগ করে নিতে পেরে খুব খুশি হয়েছি। জানি তাঁরা কত কষ্ট করে এখানে এসেছেন আমাদের সমর্থন করতে। এটাও জানি আর্জেন্টিনার প্রতিটি মানুষ কাতারে আসতে চান। সমর্থকদের সঙ্গে আমাদের দলের এই বন্ধনটা অসাধারণ। সমর্থকরা আমাদের অবিশ্বাস্য রকম ভালবাসেন। তাঁদের জীবনীশক্তি, খেলার প্রতি ভালবাসা, উচ্ছ্বাস সব কিছুই অবিশ্বাস্য।’’

বাবার ফুটবল জীবনের বিশেষ ম্যাচ দেখতে শনিবার স্টেডিয়ামে এসেছিল মেসির তিন ছেলে। যা ভাল খেলতে আরও উজ্জীবিত করেছে তাঁকে। মেসি বলেছেন, ‘‘খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু সন্তানদের কথা ভেবেছি। ওরা বড় হচ্ছে। এখন অনেক বেশি ফুটবল বুঝতে পারে। তাই উপভোগও করছে। ওরা আসলে সারাক্ষণ ফুটবলের সঙ্গেই বসবাস করে। ফুটবল ওদের প্রভাবিত করে। খেলাটা উপভোগ করে। আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষদের মতোই ওরাও ভীষণ উত্তেজিত।’’

আরও পড়ুন
Advertisement