Yastikasana Benefits

কম উচ্চতা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে? শিশুকে অভ্যাস করান যষ্টিকাসন, শিখে নিন পদ্ধতি

শিশুরা ঠিকঠাক ভাবে না বাড়লে চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। শরীরচর্চার মাধ্যমে কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করা যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫২
Yastikasana

ক্লান্তি দূর করে যষ্টিকাসন। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।

বয়স অনুযায়ী লম্বায় বাড়ছে না খুদে! সন্তানের উচ্চতা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে এই আক্ষেপ দেখা যায় প্রায়শই। এ বিষয়ে চেনা-পরিচিতদের পরামর্শও কম আসে না। কেউ বলেন, সাইকেল চালালে খুদে চড়চড়িয়ে লম্বা হবে। আবার কারও মতে, উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সাঁতারই শ্রেষ্ঠ উপায়।

Advertisement

যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধান রয়েছে আসনে। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানোর পাশাপাশি যদি নিয়ম করে যষ্টিকাসন অভ্যাস করা যায়, তা হলে ফল মিলবে দ্রুত। তবে এই আসন যে শুধুমাত্র ছোটদের জন্য, তা নয়। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও এই আসন সমান উপকারী।

সংস্কৃতে ‘যষ্টিক’ শব্দের অর্থ লাঠি। নাম শুনে হয়তো অনেকেই আন্দাজ করতে পারছেন, যষ্টিকাআসন করার সময়ে শরীরে ভঙ্গি কেমন হবে। শরীরচর্চা করার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে এই ধরনের হালকা আসন অভ্যাস করতে বলা হয়। এই আসন করা একেবারেই কঠিন নয়। তবে শরীরের ভঙ্গির সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারাই হল আসল শিক্ষা। তা রপ্ত করতে ধৈর্য এবং অধ্যবসায়, দুই-ই প্রয়োজন।

কী ভাবে করবেন?

● প্রথমে ম্যাটের উপরে একেবারে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। দেহের দু’পাশে দু’টি হাত রাখুন।

● মাটির সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে থাকবে পদযুগল। দু’টি পায়ের মধ্যে খুব বেশি ব্যবধান যেন না থাকে। পায়ের আঙুল থাকবে আকাশের দিকে।

● এ বার শ্বাস নিতে নিতে দু’টি হাত ধীরে ধীরে উপর দিকে তুলতে হবে।

● মাটি থেকে হাত দু’টি তুলে মাথার উপর নিয়ে যাওয়ার সময়ে মনে মনে অর্ধচন্দ্রাকৃতি কল্পনা করতে হবে। জ্যামিতিক আকার দেখলে হাত দু’টি একেবারে ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরবে।

● হাত দু’টি মাটি থেকে তুলে ঠিক মাঝামাঝি অর্থাৎ ৯০ ডিগ্রিতে পৌঁছলে সেই সময়ে পায়ের পাতা দু’টিও ধীরে ধীরে বাইরের দিকে নিয়ে যেতে হবে।

● খেয়াল করবেন পায়ের পাতা টেনে বাইরের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পায়ের গোছে টান পড়বে।

● এই ভাবে অন্তত বার পাঁচেক অভ্যাস করা যায় যষ্টিকাসন।

কেন করবেন?

● সারা দিনের ক্লান্তি, মানসিক চাপ দূর করে।

● দেহের সব পেশির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। নির্দিষ্ট ছন্দে বা লয়ে পুরো বিষয়টা বেঁধে রাখে।

● দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকার ফলে কোমর, তলপেট এবং পেলভিস সংলগ্ন অঞ্চলেও ব্যথা হয়। এই আসন অভ্যাস করলে আরাম মিলতে পারে।

সতর্কতা:

যাঁরা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই আসন বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। মেরুদণ্ডে কোনও ভাবে চোট-আঘাত লেগে থাকলেও এই আসন করা যাবে না। মেরুদণ্ড বাঁকা বা পিঠের অংশ কুঁজো হলে, ‘ফ্রোজ়েন শোল্ডার’, ‘টেনিস এলবো’র সমস্যা থাকলেও যষ্টিকাসন করা নিষেধ।

Advertisement
আরও পড়ুন