উল্লাস: দিয়ালোর গোলেই সমতা ফেরাল ম্যান ইউ। ছবি: রয়টার্স।
লিভারপুলকে রুখে দিয়ে চমক ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের! ইপিএল টেবলে যেখানেই থাকুক প্রতিপক্ষকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না বলে ম্যাচের আগের দিন মন্তব্য করেছিলেন লিভারপুলের ম্যানেজার আর্নে স্লট। দেখা গেল তাঁর কথাই ফলে গেল। তার উপর মারাত্মক ঠান্ডা আর বৃষ্টিতে খেলতে হল ফুটবলারদের। লিভারপুল প্রথমার্ধে সেই অর্থে সুযোগও তৈরি করতে পারল না। একবার শুধু অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের শট বাঁচিয়ে দেন আন্দ্রে ওনানা। আর একবার ম্যান ইউয়ের রাসমাস হয়লান্ডের শট রুখে দেন অ্যালিসন বেকার।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে ম্যান ইউ-ই প্রথম গোল করে। অনেকটা দৌড়ে ব্রুনো ফের্নান্দেস গোলের পাস দেন। লিসান্দ্রো মার্তিনেস সে বল পেয়ে অসাধারণ গোল করেন ৫২ মিনিটে। সাত মিনিটে পরেই কডি গাকপো ১-১ করে দেন। ৭০ মিনিটে ২-১ করেন সালাহ পেনাল্টিতে মারা নীচু শটে। বক্সে একটা উঁচু বলে মাথাইস দে লিট হাত লাগানোয় পেনাল্টি পায় লিভারপুল। তখনও ভাবা যায়নি ৮০ মিনিটে পরিবর্ত আলেজান্দ্রো গারনাচোর নীচু ক্রস থেকে নিখুঁত শটে ২-২ করে দেবেন ম্যান ইউয়ের আমাদ দিয়ালো। এবং এই ফলেই শেষ হল রবিবারের দ্বৈরথ।
নিজেদের মাঠে সালাহরা নেমেছিলেন ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবলে শীর্ষস্থানে থেকে। সেখানে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাব ম্যাচের আগে ছিল ১৩তম স্থানে। তবু স্লট বলেছিলেন, ‘‘ওদের নতুন কোচ সবে দায়িত্ব নিয়েছে। ফুটবলারদের থেকে সেরাটা বার করতে হয়তো আর একটু সময় লাগবে। এও হতে পারে আমাদের বিরুদ্ধেই সেটা ঘটল।’’ ঘটলও ঠিক তাই। বিপক্ষের মাঠেও ম্যাচ ড্র করে দিল ম্যান ইউ।
এমনিতে লিভারপুল ম্যানেজার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ক্লাব ছাড়তে চাওয়া সালাহই তাঁর প্রধান ভরসা। রবিবার সালাহ গোল করলেও যদিও সন্তুষ্ট থাকতে হল এক পয়েন্টে!