বিশ্বকাপের আগে রোহিত, কোহলিদের ফিটনেস নিয়ে কোনও রকম আপস করতে রাজি নয় ভারতীয় বোর্ড। ফাইল ছবি
রবিবার শুরু হয়েছে নতুন বছর। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কাছে এই বছরও খুবই কঠিন হতে চলেছে। একগাদা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপ এবং এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ রয়েছে। বিশ্বকাপ হবে ভারতেই। ফলে সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকবে বহু গুণ। এই অবস্থায় ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে কোনও রকম আপস করতে রাজি নয় ভারতীয় বোর্ড। রবিবার রাহুল দ্রাবিড়, রোহিত শর্মার সঙ্গে বৈঠকে সে ব্যাপারেই কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের নতুন নিয়মে রোহিত, কোহলিদের সুযোগ পাওয়া এখন আরও কঠিন।
গত বছর এবং সাম্প্রতিক কালে আইসিসি প্রতিযোগিতাগুলিতে চোট সমস্যায় জেরবার হয়েছে ভারত। যশপ্রীত বুমরা, রবীন্দ্র জাডেজা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। ভারতকেও বিদায় নিতে হয় সেমিফাইনাল থেকে। নতুন বছর থেকে সেই ভুল আর করতে চায় না বোর্ড। তাই জাতীয় দলে ঢোকার জন্যে নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠি নির্ধারণ করে দিয়েছে বোর্ড।
বৈঠকে মোট তিন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে, দ্বিতীয়টি হল ইয়ো-ইয়ো টেস্টের প্রত্যাবর্তন। বোর্ডের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এ বার থেকে দলের ঢোকার ক্ষেত্রে ইয়ো-ইয়ো এবং ডেক্সা টেস্ট করা হবে এবং যাঁরা দলে ঢোকার ব্যাপারে এগিয়ে, তাঁদের এই দু’টি পরীক্ষায় পাশ করে ঢুকতে হবে। ইয়ো-ইয়ো টেস্টের মানদণ্ড বাড়িয়ে ১৬.১ থেকে ১৬.৫ করা হয়েছে। তার কারণে কঠিন হতে পারে রোহিতদের দলে সুযোগ পাওয়া।
উল্লেখ্য, অতীতে ভারতীয় দলে ঢুকতে গেলে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট বাধ্যতামূলক ছিল। বিরাট কোহলি, জাডেজার মতো কিছু ক্রিকেটার দারুণ ফল করতেন। আবার অনেকে সেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে জাতীয় দলে ঢুকতে পারেননি। গত কয়েক বছর ধরে সেটি বন্ধ ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে যে পরিমাণ চোটের বাড়াবাড়ি দেখা যাচ্ছে, তার কারণেই এই পরীক্ষা ফেরানো হয়েছে বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের।
ডেক্সা পরীক্ষা অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন। এর মাধ্যমে মানুষের হাড়ের ঘনত্ব মাপা হয়। শরীরে একটি স্ক্যান করা হয়, যেখানে ‘ডুয়াল এনার্জি এক্স-রে’ শরীর প্রবেশ করে, যেটি হাড়ের ঘনত্ব মাপে। অর্থাৎ হাড়ের ঘনত্ব কম হলে সেই ক্রিকেটারের চোট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে তাঁদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।