বিশ্বকাপের জয়ের পর লম্বা বার্তা লিখেছিলেন। নতুন বছরে আবার বার্তা দিলেন মেসি। ফাইল ছবি
গত বছরটা স্বপ্নের মতো গিয়েছে লিয়োনেল মেসির কাছে। অধরা বিশ্বকাপের স্বপ্ন অবশেষে পূরণ করতে পেরেছেন তিনি। কার্যত একার হাতে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছেন ট্রফি। বিশ্বকাপের জয়ের পর লম্বা বার্তা লিখেছিলেন। নতুন বছরে আবার বার্তা দিলেন মেসি। জানিয়ে দিলেন, গত বছরটাই তাঁর জীবনের সেরা বছর।
ইনস্টাগ্রামে মেসি লিখেছেন, “এমন একটা বছর শেষ হল যা আমি কোনও দিন ভুলতে পারব না। একটা স্বপ্ন, যা দীর্ঘ দিন ধরে লালন করছিলাম, তা অবশেষে সত্যি হয়েছে। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের ভালবাসা এবং বার বার ব্যর্থ হওয়ার পরেও তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন না থাকলে এই জায়গায় কোনও দিন পৌঁছতে পারতাম না।”
মেসি আরও লিখেছেন, “যারা আমাকে অনুসরণ করেন এবং সমর্থন করেন, তাদের সঙ্গেও একটা সুন্দর স্মৃতি তৈরি করে রাখতে চাই। সবার সঙ্গে এই আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরে গর্বিত। এত উৎসাহ না পেলে কোনও দিন এই স্বপ্ন পূরণ হত না। প্যারিস, বার্সেলোনা এবং আরও অনেক শহর ও দেশ থেকে ভালবাসা পেয়েছি। সেটা নিজের মনের মধ্যে আজীবন রেখে দিতে চাই।”
শেষে নতুন বছরকে মাথায় রেখে মেসি লিখেছেন, “আশা করি আগামী বছরটাও আমাদের সবার খুবই ভাল কাটবে। সবার সুস্বাস্থ্য এবং শক্তি কামনা করি। সবাইকে ভালবাসা।”
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন মেসি। দু’দিন পরেই রোসারিয়োয় চলে যান। বড়দিন কাটান পরিবার এবং তিন সন্তানের সঙ্গেই। ছিলেন লুই সুয়ারেস, আন্দ্রে ইনিয়েস্তার মতো কিছু বন্ধুও। তবে প্যারিসে ফেরার আগেই সময়টা আরও ভাল করে উপভোগ করতে চেয়েছিলেন মেসি। সেই কারণেই এক বিরাট পার্টির আয়োজন করেন।
সান্টা ফে-র রোসারিয়ো সিটি সেন্টারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘চ্যাম্পিয়নদের উৎসব’। কাতার থেকে ফেরার পর সেখানেই রয়েছেন মেসি। মেসির দাতীয় দলের সতীর্থ অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া এবং লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। মেসি একটি জার্মান সংস্থার বিলাসবহুল গাড়ি চড়ে আসেন। সেই ছবি রয়েছে সমাজমাধ্যমে। সাদা রঙের টি-শার্ট পরেছিলেন তিনি। স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজোকে দেখা গিয়েছে রুপোলি রঙের একটি পোশাকে। তিন সন্তান থিয়াগো, মাতেয়ো এবং সিরোও একই গাড়িতে ছিল।
এ ছাড়া মেসির মা সেলিয়া কুচ্চিতিনি, দুই ভাই রদ্রিগো এবং মারিয়া সোল সেই পার্টিতে ছিলেন। আর্জেন্টিনায় মেসির প্রাক্তন সতীর্থ ম্যাক্সি রদ্রিগেসকে দেখা যায়। পার্টিতে গানবাজনা করে ‘লা মস্কা’ ব্যান্ড। বিশ্বকাপের সময় ‘মুচাচোস’ গানটি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল আর্জেন্টিনার সাজঘরে। সেই গানটি নতুন করে গেয়েছে লা মস্কা ব্যান্ডটিই। পার্টি আড়েবহরে এতটাই বড় ছিল যে পুলিশকে বিশাল নিরাপত্তার আয়োজন করতে হয়। তবু প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন সিটি সেন্টারের বাইরে। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয় কড়া হাতে।