বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহলিকে কি পরের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে না? সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় এমনই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, নির্বাচকেরা কোহলিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাবছেন না। সেই জায়গায় ভারতেরই এক তরুণ ক্রিকেটারকে তুলে ধরা হচ্ছে। বিশ্বকাপে কোহলির জায়গা মোটেই নিশ্চিত নয়।
কিছু দিন আগেই ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ডকর্তা এবং নির্বাচকেরা। সেখানে রোহিতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতা হিসাবে সবাই দেখতে চেয়েছেন। একই বৈঠকে কোহলির জায়গা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই শুধু কোহলির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বোর্ডকর্তারা।
বৈঠকে হাজির বোর্ডের এক সূত্র এক সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, নির্বাচক এবং বোর্ডকর্তারা টি-টোয়েন্টিতে তিন নম্বরে এমন এক ব্যাটারকে চাইছেন, যিনি শুরু থেকে চালাতে পারবেন। সেই জায়গায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ঈশান কিশন। বাঁ হাতি ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন নম্বরে গোটা দুয়েক ম্যাচে ভালই খেলেছেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোহলি বিশ্বের সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। এ ছাড়া ৫০-এর উপর গড়ে ১০০০ রান রয়েছে। নির্বাচকদের ইঙ্গিত, পরের আইপিএলে যদি কোহলি ভাল খেলতে পারেন তা হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাবা যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। আইপিএলে সাধারণত ওপেন করেন কোহলি। জাতীয় দলে ওপেন করার কোনও জায়গাই নেই। রোহিত খেললে তাঁর সঙ্গে শুভমন গিল বা যশস্বী জয়সওয়ালকে দেখা যাবে। যদি কিশনকে তিনে রাখা হয়, তা হলে পরের ব্যাটিং লাইন-আপে পর পর রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব, রিঙ্কু সিংহ, হার্দিক পাণ্ড্য এবং রবীন্দ্র জাডেজা। ফলে কোহলির কোনও জায়গাই নেই।
এই কারণেই আগামী দিনে কোহলির সঙ্গে নির্বাচক এবং বর্ষীয়ান বোর্ডকর্তারা বৈঠক করবেন এবং জানবেন টি-টোয়েন্টিতে খেলা নিয়ে কী ভাবছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। যদি কোহলি ভবিষ্যতে এই ফরম্যাটে না খেলতে চান, তা হলে বোর্ড কোনও আপত্তি করবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে কোহলি এমনিতেই টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন না। এর পর আফগানিস্তান সিরিজ় রয়েছে। তার পরেই জুন মাসে বিশ্বকাপ। মাঝে আর কোনও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ় নেই। তাই কোহলির কাছে সময় খুবই কম।