Gautam Gambhir and S Sreesanth

আবার বিতর্কে কলকাতার মেন্টর ‘ঝগড়ুটে’ গম্ভীর! কোহলির পর এ বার মাঠে ঝামেলা শ্রীসন্থের সঙ্গে

প্রাক্তন সতীর্থ এস শ্রীসন্থের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়ালেন গৌতম গম্ভীর। শ্রীসন্থকে চার, ছয় মারার পরেই ঝামেলা বাধে। গম্ভীরকে ‘ঝগড়ুটে’ বলে অভিহিত করেছেন শ্রীসন্থ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:০৩
cricket

গৌতম গম্ভীর (বাঁ দিকে) এবং এস শ্রীসন্থ। — ফাইল চিত্র।

কিছু দিন আগেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) মেন্টর হয়েছেন গৌতম গম্ভীর। তার কয়েক দিনের মধ্যেই জড়িয়ে পড়লেন বিতর্কে। লেজেন্ডস ক্রিকেট লিগ খেলতে গিয়ে প্রাক্তন সতীর্থ এস শ্রীসন্থের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়ালেন। ঘটনার পরে শ্রীসন্থ জানিয়েছেন, গম্ভীর তাঁকে ‘খুব খারাপ’ একটি কথা বলেছিলেন। সেটার উত্তর দিতে গিয়েই তর্কাতর্কি হয়। গম্ভীরকে ‘ঝগড়ুটে’ বলেও অভিহিত করেছেন শ্রীসন্থ।

Advertisement

লেজেন্ডস লিগে ইন্ডিয়া ক্যাপিটালস বনাম গুজরাত জায়ান্টসের ম্যাচের মাঝে এই ঘটনা ঘটেছে। গুজরাতের শ্রীসন্থের একটি ওভারে পর পর চার এবং ছয় মারেন গম্ভীর। তখন শ্রীসন্থ তাঁর দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে থাকেন। পরের বলটি যায় ফিল্ডারের কাছে। তখনই শ্রীসন্থ গম্ভীরকে কিছু একটা বলেন। তার পাল্টা দেন গম্ভীরও। বিষয়টি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই দু’দলের ক্রিকেটার এবং আম্পায়ারেরা এসে দুই ক্রিকেটারকে আলাদা করে দেন।

ম্যাচের পরে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে শ্রীসন্থ বলেন, “মিস্টার ফাইটারের সঙ্গে যা হয়েছে তা নিয়ে গোটা বিষয়টা পরিষ্কার করে দিতে চাই। গম্ভীর এমন একজন যে কোনও কারণ ছাড়াই সব সময় ঝগড়া করে। বীরু ভাইয়ের মতো বয়স্ক ক্রিকেটারদেরও সম্মান করে না। আজও ঠিক সেটাই হয়েছে। কোনও ইন্ধন ছাড়াই আমাকে একটানা কিছু বলে যাচ্ছিল যেটা খুব খারাপ। গৌতম গম্ভীরের মতো মানুষের মুখ থেকে সেটা আশা করা যায় না।”

শ্রীসন্থের সংযোজন, “আমার কোনও দোষই নেই। মিস্টার গৌতি যা করেছেন তা খুব তাড়াতাড়ি আপনারা জানতে পারবেন। যে শব্দ উনি ক্রিকেট মাঠে ব্যবহার করেছেন তা কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমার পরিবার, আমার রাজ্য, প্রত্যেককে অনেক কিছু সইতে হয়েছে। আপনাদের সমর্থনের জোরেই আমি অনেক লড়াই লড়েছি। এখন কিছু মানুষ কোনও কারণ ছাড়াই আমাকে টেনে নীচে নামাতে উদ্যত হয়েছে। ও এমন কথা বলেছে যেটা বলা উচিত হয়নি।”

এই প্রসঙ্গে আচমকা বিরাট কোহলির কথাও টেনে এনেছেন শ্রীসন্থ। কটাক্ষ করেছেন গম্ভীরের সাংসদ পদকেও। বলেছেন, “মানুষকে যদি সম্মানই করতে না পারেন তা হলে মানুষের প্রতিনিধি হয়ে কী লাভ? ধারাভাষ্যের সময়েও বিরাটকে নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে ও কখনওই উত্তর দেয় না। অন্য কথা বলে। আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। এটাই জানাতে চাই, আমি,আমার পরিবার এবং কাছের মানুষেরা ব্যথিত। আমি একটাও খারাপ কথা বলিনি।”

আরও পড়ুন
Advertisement