ধোনিকে সরিয়ে সব ধরনের ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আর তর সইছিল না বিরাটের। —ফাইল চিত্র
ভারতের অধিনায়ক তখন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কিন্তু নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন বিরাট কোহলি। সব ধরনের ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আর তর সইছিল না তাঁর। সেই সময় বিরাটকে শান্ত করেছিলেন রবি শাস্ত্রী। বলেছিলেন ধোনির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে।
সেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন ভারতের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর। তিনি বলেন, “২০১৬ সালে একটা সময় ছিল যখন সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক হয়ে ওঠার জন্য বিরাট ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। বিরাট এমন কিছু কথা বলেছিল যা পরিষ্কার করে দিয়েছিল যে, ও অধিনায়ক হতে চাইছে। এক দিন সন্ধেবেলা বিরাটকে ডাকে রবি শাস্ত্রী। বলে, ‘ধোনি লাল বলের ক্রিকেটে তোমাকে অধিনায়ক করেছে। ধোনির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাও। সাদা বলের ক্রিকেটেও তোমাকে ও নেতা করবে, কিন্তু সেটা সঠিক সময়ে। এখন যদি ধোনিকে তুমি সম্মান করতে না পারো তা হলে অধিনায়ক হওয়ার পর দল তোমাকে সম্মান করবে না।’”
শ্রীধর জানিয়েছেন যে বিরাট সেই কথা শুনেছিল। তাঁর কথা অনুযায়ী শাস্ত্রী বিরাটকে বলেন, “তোমাকে অধিনায়ক হওয়ার জন্য দৌড়তে হবে না। ওটা তোমার কাছেই আসবে। বিরাট সেই উপদেশ শুনেছিল। বছর খানেকের মধ্যেই ও সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হয়।”
তাঁর বইয়ে শাস্ত্রীর প্রশংসা করেন শ্রীধর। তিনি লেখেন, “শাস্ত্রী খুব ভাল কথা বলে। মুখের উপর সত্যি কথা বলতে জানে। কোনও ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া হলে তার সঙ্গে নিজে কথা বলত শাস্ত্রী। কোনও ক্রিকেটার দল থেকে বাদ পড়লে সেটা তাকে জানানো সব থেকে খারাপ কাজ। সেই কাজটাই করত শাস্ত্রী।”
এখন ভারতীয় দলের নেতা রোহিত শর্মা। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে নেতৃত্ব ছাড়েন বিরাট। এর পর সাদা বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ২০২২ সালে লাল বলের খেলায় নেতৃত্ব ছাড়েন বিরাট। তার পর থেকেই রোহিত ভারতের অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রোহিত না থাকায় এখন হার্দিক পাণ্ড্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন।