অসমের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে ৩৫০ রান পূর্ণ করার পর পৃথ্বী। ছবি: টুইটার।
রঞ্জি ট্রফিতে অসমের বিরুদ্ধে ৩৭৯ রানের ইনিংস খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পৃথ্বী শ। মুম্বইয়ের ব্যাটার প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন। রঞ্জির ট্রফির ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০টি ইনিংসের তালিকায় রয়েছে একাধিক বড় নাম।
রঞ্জি ট্রফিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের নজির অক্ষত রয়েছে সাত দশকের বেশি সময়। মহারাষ্ট্রের বাবাসাহেব নিম্বলকর সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৪৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন ১৯৪৮-৪৯ মরসুমে। সেই রেকর্ড এখনও অক্ষত। পৃথ্বী দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসায় তৃতীয় স্থানে নেমে গেলেন মুম্বইয়েরই এক প্রাক্তন ব্যাটার। ১৯৯০-৯১ মরসুমে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩৭৭ রান করেছিলেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তিনি এত দিন ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে।
পৃথ্বীর ৩৭৯ রানের ইনিংসের পর চতুর্থ স্থানে হায়দরাবাদের প্রাক্তন ক্রিকেটার এমভি শ্রীধর। ১৯৯৩-৯৪ মরসুমে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৩৬৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শ্রীধর। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন আর এক মুম্বইকর। ১৯৪৩-৪৪ মরসুমে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয় মার্চেন্ট খেলেছিলেন ৩৫৯ রানে অপরাজিত ইনিংস। তাঁর সঙ্গে যুগ্ম ভাবে পঞ্চম স্থানে গুজরাতের সমিত গোহেল। তিনি ২০১৬-১৭ মরসুমে ওড়িশার বিরুদ্ধে ৩৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
রঞ্জিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্ণণ। ১৯৯৯-২০০০ মরসুমে কর্নাটকের বিরুদ্ধে ৩৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন সদস্য। তাঁর ঠিক পরেই অষ্টম স্থানে রয়েছেন এখনকার টেস্ট দলের সদস্য চেতেশ্বর পুজারা। ২০১২-১৩ মরসুমে সৌরাষ্ট্রের হয়ে কর্নাটকের বিরুদ্ধে তিনি করেন ৩৫২ রান। নবম স্থানে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বপ্নিল গুগালে। তিনি দিল্লির বিরুদ্ধে ২০১৬-১৭ মরসুমে খেলেছিলেন অপরাজিত ৩৫১ রানের ইনিংস। দশম স্থানে রয়েছেন মেঘালয়ের ক্রিকেটার পুনিত বিস্ত। ২০১৮-১৯ মরসুমে সিকিমের বিরুদ্ধে ৩৪৩ রানের ইনিংস খেলেন।
রঞ্জিতে ইতিহাস গড়তে না পারলেও মুম্বইয়ের হয়ে নজির গড়েছেন পৃথ্বী। রঞ্জিতে এর আগে মুম্বইয়ের কোনও ব্যাটার এত রান করেননি। পাশাপাশি পৃথ্বী প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে রঞ্জি ট্রফিতে ত্রিশতরান, বিজয় হজারে ট্রফিতে দ্বিশতরান এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে শতরান করার কৃতিত্ব গড়লেন।