হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বকাপে আর খেলতে পারবেন না হার্দিক পাণ্ড্য। নিজেই এখনও মানতে পারছেন না এটা। সরকারি ভাবে ঘোষণার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট ভারতীয় অলরাউন্ডারের। সতীর্থদের পাশে দাঁড়ালেন হার্দিক।
শনিবার সকালে হার্দিক সমাজমাধ্যমে লেখেন, “ভাবতেই পারছি না যে আমি আর এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে পারব না। তবে আমি দলের পাশে আছি। প্রতিটা ম্যাচে, প্রতিটা বলের জন্য গলা ফাটাব। সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন। সকলকে ধন্যবাদ। এই দলটা সকলকে গর্বিত করার ক্ষমতা রাখে। আমার তরফে ভালবাসা রইল।”
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক। তাঁকে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পাঠানো হয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল সেমিফাইনালে ফিরতে পারেন হার্দিক। কিন্তু শনিবার ভারতীয় বোর্ড জানিয়ে দিল যে, হার্দিক এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না। সেই জায়গায় দলে নেওয়া হল প্রসিদ্ধকে।
প্রসিদ্ধ ভারতের হয়ে ১৭টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। ২৯টি উইকেট আছে তাঁর। ২৭ বছরের এই পেসারের অভিষেক হয় ২০২১ সালে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। শেষ বার ভারতের হয়ে এক দিনের ক্রিকেট খেলেছিলেন বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। তিনিও দীর্ঘ দিন চোটের কারণে খেলতে পারছিলেন না। চোট সারিয়ে কিছু দিন আগেই মাঠে ফিরেছেন প্রসিদ্ধ। এ বার তিনি সুযোগ পেয়ে গেলেন বিশ্বকাপে।
বাংলাদেশ ম্যাচের নবম ওভারে বল করার সময় চোট পেয়েছিলেন হার্দিক। তাঁর বলে স্ট্রেট ড্রাইভ মেরেছিলেন লিটন দাস। সেই বল পা দিয়ে আটকাতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন হার্দিক। তাঁর পায়ের উপর পুরো শরীরের ওজন পড়ে গিয়েছিল। তাতেই চোট লাগে ভারতীয় অলরাউন্ডারের। সেই ম্যাচে আর বল করতে পারেননি তিনি। সেই সময় ওভারের তিনটি বল বাকি ছিল। বিরাট ওই তিনটি বল করেছিলেন।