আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেন কেন উইলিয়ামসন। ছবি: টুইটার
প্রথম দল হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল নিউজ়িল্যান্ড। শুক্রবার আয়ারল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়ে দেয় তারা। পাঁচ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছেন কেন উইলিয়ামসনরা। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার সুযোগ রয়েছে ৭ পয়েন্টে পৌঁছনোর। কিন্তু নেট রানরেটে সেই দুই দল অনেকটাই পিছিয়ে।
প্রথমে ব্যাট করে নিউজ়িল্যান্ড ১৮৫ রান তোলে। ওপেনার ফিল অ্যালেন ৩২ রান করেন। অন্য ওপেনার ডেভন কনওয়ে করেন ২৮ রান। উইলিয়ামসন ৩৫ বলে করেন ৬১ রান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি চার এবং তিনটি ছক্কা দিয়ে। ড্যারিল মিচেল ২১ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলছিল নিউজ়িল্যান্ড। কিন্তু শেষে জস লিটলের হ্যাটট্রিকের ধাক্কায় আরও বড় রান তুলতে পারেনি তারা। লিটল ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ড প্রথম ৮ ওভারে কোনও উইকেট হারায়নি। ৬৮ রান তুলে নেন দুই ওপেনার পল স্টার্লিং এবং অ্যান্ডি বিলবার্নি। এর পরেই উইকেট হারাতে শুরু করে আয়ারল্যান্ড। প্রথমে ইশ সোধি এবং মিচেল স্যান্টনারের স্পিন, পরে লকি ফার্গুসনের পেসে ধরাশায়ী হয় তারা। ফার্গুসন নেন ৩ উইকেট। দু’টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, সোধি এবং স্যান্টনার।
ম্যাচ হারলেও এই ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে থাকবে আয়ারল্যান্ডের লিটলের কাছে। নিউজ়িল্যান্ড ব্যাট করার সময় ১৯তম ওভারে বল করতে এসে হ্যাটট্রিক করেন লিটল। ওভারের দ্বিতীয় বলে উইলিয়ামসনের উইকেট নেন বাঁহাতি আইরিশ পেসার। হঠাৎ মন্থরগতির বলে চমকে দিয়েছিলেন কিউই অধিনায়ককে। ঠিক মতো ব্যাটে লাগেনি বলটা। ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ নেন গ্যারেথ ডিলানি। পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন নিশাম। এলবিডব্লিউ হন তিনি। নিশাম রিভিউ নেন কিন্তু লাভ হয়নি। পরের বলে স্যান্টনারও এলবিডব্লিউ হন। তিনিও রিভিউ নেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত আউটের সিদ্ধান্তই দেন আম্পায়ার।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের পর নিউজ়িল্যান্ড নেট রানরেটে (২.১১৩) বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ড (০.৫৪৭) এবং অস্ট্রেলিয়ার (-০.৩০৪) সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচে তারা জিতলেও নিউজ়িল্যান্ডকে টপকে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে গেল।