ঈশান কিশন। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) শ্রেয়স আয়ার এবং ঈশান কিশনকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার পর তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন রবি শাস্ত্রী। এ বার ‘অবাধ্য’ ঈশান পাশে পেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি মনে করেন, তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলা উচিত বোর্ড কর্তাদের।
ঈশানের ক্রিকেটীয় প্রতিভা নিয়ে সংশয় নেই অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের। তাঁদেরই এক জন সৌরভ। ঈশানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। শাস্তি প্রসঙ্গে সৌরভ বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় বোর্ড সভাপতি রজার বিন্নী, সচিব জয় শাহ এবং জাতীয় নির্বাচকদের উচিত ঈশানের মতো ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলা। ও আগে রঞ্জি ট্রফি খেলেছে। সাদা বলের ক্রিকেটও খেলেছে। হঠাৎ করে ঈশান কি খারাপ ক্রিকেটার হয়ে গেল? এমন হয় না।’’ সৌরভ বোঝাতে চেয়েছেন, ঈশানের ক্রিকেটীয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। তাঁর ঠিক কী সমস্যা হয়েছে, তা জানা উচিত বোর্ড কর্তাদের। সেই সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।
ঘরোয়া ক্রিকেটের গুরুত্ব মেনে নিয়েছেন সৌরভ। এ নিয়ে বোর্ডের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমাদের দিল্লি ক্যাপিটালসের সব ক্রিকেটার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি খেলেছে। বিজয় হজারে ট্রফি খেলেছে। ইশান্ত শর্মার মতো ক্রিকেটারও রঞ্জি ট্রফি খেলেছে।’’ সৌরভ বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা নিয়ে বোর্ডের অবস্থান সঠিক।
ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলের মধ্যে কোনও সংঘাত দেখছেন না সৌরভ। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটারেরা লাল এবং সাদা বলের ক্রিকেট দুই-ই খেলতে পারে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এবং আইপিএল— দুটোই ওদের জীবন গড়ে দিতে পারে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গে আইপিএলের কোনও সংঘাত নেই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর আইপিএল হয়। আমি তো কোনও সমস্যা দেখছি না। সেরা ক্রিকেটারদের অনেকেই তো টেস্টের পাশাপাশি সাদা বলের ক্রিকেটও খেলে।’’
ক্রিকেটারদের চাপ যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে বোলারদের নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন সৌরভ। তিনি বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে জোরে বোলারদের জন্য চাপ একটু বেশি। ব্যাটারদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যশপ্রীত বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়ার কারণ বোঝা যাচ্ছে। জেমস অ্যান্ডারসন ১৬০টির বেশি টেস্ট খেলেছে। অথচ অনেকে ক্রিকেটজীবনের শুরুতেই চাপের কথা বলছে। যদিও মনে করি, ভারতীয় ক্রিকেটের মান এখনও যথেষ্ট ভাল।’’