টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হার্দিক পাণ্ড্যের পাকাপাকি অধিনায়ক হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। তবে রোহিতকে নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। ফাইল ছবি
নতুন বছর উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটের কাছে। বছরের শেষে রয়েছে এক দিনের বিশ্বকাপ। তার আগে রয়েছে এশিয়া কাপ। অনেকেই মনে সংশয় রয়েছে রোহিত শর্মাকে নিয়ে। টেস্ট এবং এক দিনের ফরম্যাটে কি তাঁকে অধিনায়ক হিসাবে দেখা যাবে? টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হার্দিক পাণ্ড্যের পাকাপাকি অধিনায়ক হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। তবে রোহিতকে নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। নতুন বছরের প্রথম দিনে বোর্ডের বৈঠকে তার একটা আভাস পাওয়া গেল।
রবিবার বৈঠকে রোহিত ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে। পাশাপাশি বোর্ড সচিব জয় শাহ, সভাপতি রজার বিন্নী, এনসিএ প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং বিদায়ী নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান চেতন শর্মাও ছিলেন। বৈঠকের পরে সংবাদ সংস্থাকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “রোহিত এখন ভারতকে টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই দুই ফরম্যাটে ওর নেতৃত্ব নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কেউ সন্দেহপ্রকাশও করেনি। টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে ওর রেকর্ডও ভাল। তাই ওকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর দাবি কেউ তোলেনি।” ফলে আগামী বিশ্বকাপে রোহিতকেই যে অধিনায়ক হিসাবে দেখা যাবে, এটা প্রায় স্পষ্ট হয়ে গেল।
আর একটি প্রসঙ্গ এসেছে চেতনের বৈঠকে হাজির থাকা নিয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তাঁদের গোটা নির্বাচক কমিটিকেই বরখাস্ত করা হয়েছিল। চেতন আবার আবেদন করেছেন। তবে নতুন নির্বাচক কমিটি না আসা পর্যন্ত তাঁকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই প্রসঙ্গে ওই সূত্রের দাবি, “প্রথমত, চেতনকে বলা না হলে ও আবেদনই করত না। ওটাই একটা ইঙ্গিত। আগামী ১০ মাসে ভারত বিশ্বকাপ খেলবে। চেতন এবং হরবিন্দর থাকলে একটা ছন্দ থাকবে।”
শোনা যাচ্ছে, পূর্বাঞ্চল থেকে নির্বাচক হতে পারে শিবসুন্দর দাস। পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসতে পারেন মুকুন্দ পারমার, সলিল আঙ্কোলা এবং সমীর দীঘের মধ্যে কেউ। নতুন নির্বাচক কমিটির প্রধান না হলেও উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধি হতে পারেন চেতন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসতে পারেন বেঙ্কটেশ প্রসাদ।