আলোচনায় বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র
কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠা। তার পর সামনে মধ্যপ্রদেশ। গত বার রঞ্জির নক আউটে বাংলার প্রতিপক্ষ ছিল এই দলগুলি। এ বারেও এমনটাই হতে পারে। কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডকে হারিয়ে দিয়েছেন মনোজ তিওয়ারিরা। এ বার মধ্যপ্রদেশ এবং অন্ধ্রের ম্যাচের জয়ী দলের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল খেলবে বাংলা। যে ম্যাচ জিততে গত বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশের চাই আর ৭৩ রান। হাতে ৭ উইকেট।
শুক্রবার ঝাড়খণ্ডকে ৯ উইকেটে হারায় বাংলা। সেই ম্যাচের পরেই আলোচনা শুরু হয়ে যায় বাংলার প্রতিপক্ষ নিয়ে। সেমিফাইনালে কোন দলের বিরুদ্ধে খেলবেন মনোজরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ এবং অন্ধ্রের ম্যাচ চলছে। তাই এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কোন দলের বিরুদ্ধে ৮ ফেব্রুয়ারি মাঠে নামবেন মনোজরা।
গত বার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিল বাংলা। মধ্যপ্রদেশের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের তৈরি করা দলের বিরুদ্ধে এ বারও খেলতে হতে পারে মনোজদের। গত বার পণ্ডিতের হাত ধরেই চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলা। এ বারও জিতে শেষ করতে চাইবেন তিনি। বিদর্ভের কোচ থাকার সময় পর পর দু’টি রঞ্জি জয়ের নজির রয়েছে পণ্ডিতের। এ বার মধ্যপ্রদেশের হয়েও সেই কাজ করে দেখাতে চাইবেন তিনি। রঞ্জি শেষ হলেই পণ্ডিত ব্যস্ত হয়ে পড়বেন আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দায়িত্ব সামলাতে। তার আগে লাল বলের ক্রিকেটে নিজের দলকে সেরা করেই মাঠ ছাড়তে চাইবেন তিনি। তবে মনোজরাও যে ছেড়ে দেবেন না তা বলাই যায়। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লও চাইবেন প্রথম বার বাংলার দায়িত্ব নিয়েই রঞ্জি জিততে। সেখানে তিনি যে দলকে লড়াইয়ের জন্য তৈরি করেই মাঠে নামাবেন তা বলাই যায়।