রঞ্জির সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের হাত থেকে খেলা ছিনিয়ে নিয়েছেম মনোজ তিওয়ারিরা। জয়ের পথে এগোচ্ছেন তাঁরা। —ফাইল চিত্র
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে সফল অনুষ্টুপ মজুমদার। বাংলার এই মিডল অর্ডার ব্যাটার দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করেছেন। এর মধ্যেই বাংলার লিড ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে। খেলার যা পরিস্থিতি তাতে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের আরও কাছে পৌঁছে গিয়েছে বাংলা।
তৃতীয় দিনের শেষে ৫৯ রান করেছিল বাংলা। হারিয়েছিল দুই ওপেনারকে। ক্রিজে ছিলেন অনুষ্টুপ-সুদীপ। চতুর্থ দিন সকাল থেকে তাঁরা সাবলীল ব্যাটিং শুরু করেছেন। ঠিক যে ভাবে প্রথম ইনিংসে খেলেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ভাবে খেলতে দেখা গেল দুই ডান হাতি ব্যাটারকে। ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামে সকালের আবহাওয়া কাজে লাগাতে পারলেন না মধ্যপ্রদেশের বোলাররা। দু’জনে মিলে দলের রানকে ১০০ পার করান।
দেখে মনে হচ্ছিল, আরও এক বার অর্ধশতরান করবে দুই ব্যাটার। কিন্তু ৪১ রান করে আউট হয়ে যান সুদীপ। তার পরে অনুষ্টুপের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক মনোজ। দু’জনে মিলে দলের রান ১৫০ পার করান। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলার রান ৬৩ ওভারে ৩ উইকেট ১৫৪। অনুষ্টুপ ৫১ ও সুদীপ ১৪ রান করে ব্যাট করছেন। বাংলার লিড ৪২২ রান।
হাতে এখনও ৮ উইকেট। চতুর্থ দিন মনোজদের লক্ষ্য থাকবে যত বেশি সম্ভব রানের বোঝা মধ্যপ্রদেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া। এমনিতেই চতুর্থ ইনিংসে মধ্যপ্রদেশকে ব্যাট করতে হবে, যা ইনদওরের পিচে সহজ কাজ নয়। মধ্যপ্রদেশকে অলআউট করে বাংলার সরাসরি জয়ের সম্ভাবনা থাকছে। না হলে প্রথম ইনিংসে লিডের ভিত্তিতে এমনিই ফাইনালে চলে যেতে পারে বাংলা।
প্রথম ইনিংসে ২৬৮ রানে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও বিপক্ষকে ফলো-অন করায়নি বাংলা। সম্ভবত বোলারদের বিশ্রাম দেওয়া এবং চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট না করার ঝুঁকি নেওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাংলার দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও করণ লাল দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পাননি। দল জয়ের দিকে এগোলেও দুই ওপেনারের ফর্ম কিছুটা চিন্তায় রাখবে বাংলাকে।