ঋষভ পন্থ। ছবি: বিসিসিআই।
ব্যাট হাতে রান পাচ্ছেন না। আইপিএলের চারটি ম্যাচ খেলে পন্থ করেছেন ১৯ রান। ব্যাট হাতে তাঁর পরিচিত আগ্রাসী মেজাজ দেখা যাচ্ছে না। উইকেটরক্ষক হিসাবেও ত্রুটিহীন থাকতে পারছেন না। শুক্রবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর পন্থকে দেখা গেল দোভাষীর ভূমিকায়।
লখনউয়ের রহস্য স্পিনার দিগ্বেশ রাঠি প্রতি ম্যাচেই নজর কাড়ছেন বল হাতে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। নমন ধীরকে আউট করেন নাক্ল বলে। ম্যাচের পর সম্প্রচারকারী চ্যানেলে কথা বলার সময় তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন পন্থ। প্রশ্নকর্তা ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইয়ান বিশপ। অথচ দিগ্বেশ ইংরেজি বলার ক্ষেত্রে স্বচ্ছন্দ নন। তিনি হিন্দিতে উত্তর দেবেন বলে জানান, যা আবার বিশপের বোধগম্য নয়। তাই বিশপের অনুরোধে দিগ্বেশের বক্তব্য ইংরেজিতে তর্জমার দায়িত্ব দেন লখনউ অধিনায়ক। তাঁকে দেখা যায় সতীর্থের দোভাষী হিসাবে।
দ্বিগেশ জানিয়েছেন, কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পিনার সুনীল নারাইন তাঁর অনুপ্রেরণা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডারের সঙ্গে তাঁর বল করার ধরনেরও মিল রয়েছে। শুক্রবার ম্যাচের পর দিগ্বেশ বলেছেন, ‘‘যে ভাবে বল করছি, তাতে আমি খুশি। ব্যাটারদের বল হাতে আক্রমণ করতে ভালবাসি। সব সময় উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘নারাইনকে প্রথম বল করতে দেখে ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। তখন থেকে বোলিং আমার কাছে আরও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। মানসিক ভাবে আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেছি নারাইনের মতো। অথচ চাপের মুখেও নারাইন ভীষণ শান্ত থাকতে পারে। সেটাও খুব ভাল লাগে আমার। এটাও রপ্ত করতে চাই।’’
দিগ্বেশ জানিয়েছেন, পন্থের পরামর্শ মেনে নমনের উইকেট পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ওভার শুরুর আগে অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি মিড উইকেটে এক জন ফিল্ডার রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক রাজি হয়নি। তাই আমি স্টাম্প বল রাখার চেষ্টা করছিলাম। যাতে নমন প্রতিটি বল খেলতে বাধ্য হয় এবং শট মারার চেষ্টা করে।’’
সতীর্থের সাফল্যে খুশি লখনউ অধিনায়কও। দিগ্বেশের প্রশংসা করে পন্থ বলেছেন, ‘‘দিগ্বেশ আমাদের অন্যতম প্রধান বোলার। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। চাপের সময়ও লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারে। ওর মতো তরুণদের আইপিএলের মতো বড় মঞ্চে পারফর্ম করতে দেখলে ভাল লাগে।’’