হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেন হার্দিক পাণ্ড্য। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক ৩৬ রানে ৫ উইকেট নিলেও ব্যর্থতার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তিলক বর্মার রিয়াটার্ড আউটের সিদ্ধান্তের জন্যও সমালোচিত হয়েছেন হার্দিক। সব মিলিয়ে সাজানো মঞ্চে নায়ক হতে পারেননি হার্দিক।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ম্যাচ হেরে হতাশ হার্দিক। ম্যাচের পর মুম্বই অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘ম্যাচ হারলে সব সময়ই হতাশ লাগে। সত্যি বলতে ফিল্ডিং করার সময় আমরা ১০-১২ রান অতিরিক্ত দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত সেই রানটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ফিল্ডিং আর একটু ভাল হওয়া উচিত ছিল আমাদের।’’
দল জিততে পারেনি। প্রয়োজনের সময় ব্যাট হাতেও ব্যর্থ হয়েছেন। তবে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে খুশি হার্দিক। তিনি বলেছেন, ‘‘বল করাটা সব সময়ই উপভোগ করি। আমার বলে খুব বেশি বৈচিত্র নেই। পিচের চরিত্র বুঝে বল করার চেষ্টা করি। কার্যকর বল করার চেষ্টা করি। উইকেট নেওয়ার জন্য বাড়তি কিছু চেষ্টা করি না। ব্যাটারের ভুল করার অপেক্ষায় থাকি। তেমনই একটা দিন কাটাতে পেরেছি বল হাতে। তবে আমাদের ব্যাটিং ভাল হয়নি। দলগত ব্যর্থতা বলা যায়। আমাদের খামতি ছিল। আমরা দল হিসাবে যেমন জিতি, তেমনই দল হিসাবেই হারি। লখনউ ম্যাচে ব্যর্থতার দায় অধিনায়ক হিসাবে সম্পূর্ণ আমি নিচ্ছি।’’
শুক্রবারের ম্যাচে ইনিংসের ১৯তম ওভারে তিলক বর্মাকে হঠাৎ রিটায়ার্ট আউট করায় মুম্বই। গুরুত্বপূর্ণ সময় এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে হার্দিকের বক্তব্য, ‘‘জেতার জন্য আমাদের তখন চার-ছয় দরকার ছিল। কিন্তু তিলকের ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না ঠিকমতো। ক্রিকেটে এমন এক একটা দিন আসে, যখন কিছুই ঠিকঠাক হয় না। সে জন্যই আমরা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’ হার্দিকের এই বক্তব্য কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ মুম্বই অধিনায়কেরও ব্যাটে-বলে হয়নি গুরুত্বপূর্ণ শেষ ওভারে। তা ছাড়া তিলকের পরিবর্তে নামানো হয় মিচেল স্যান্টনারকে। তাঁর উপরও সম্ভবত ভরসা রাখতে পারেননি হার্দিক। শেষ ওভারের একটি বলে খুচরো রান নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি মুম্বই অধিনায়ক।