Kolkata Police

শুভমনের ক্যাচ বিতর্কে ঢুকে পড়ল কলকাতা পুলিশ!

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শুভমন গিলের ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক চলছে। এই বিতর্কে এ বার ঢুকে পড়ল কলকাতা পুলিশ। কী বলেছে তারা?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ ১৫:৫৩
Shubman Gill

শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র

শুভমন গিলের ক্যাচ বিতর্কে এ বার ঢুকে পড়ল কলকাতা পুলিশ। ক্যামেরন গ্রিনের ক্যাচের কথা উল্লেখ করে জনগণকে সতর্ক করেছে তারা। জালিয়াতি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কারও টাকা তুলে নেওয়া হলেও সেই টাকা ফেরত পাওয়া যায়, এই বার্তা দিয়েছে তারা।

কলকাতা পুলিশ গ্রিনের সেই ক্যাচের একটি ছবি দিয়েছে সমাজমাধ্যমে। ছবির উপরে লেখা, ‘‘তৃতীয় চোখের ভুল শোধরানো দায়। তবে টাকা খোয়া গেলে ফেরত আনা যায়।’’ ছবির নীচে লেখা ‘অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড’। একটি হেল্পলাইন নম্বরও দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেটি হল- ৮৫৮৫০৬৩১০৪।

Advertisement

এই পোস্টের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশ বোঝাতে চেয়েছে, গ্রিনের ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তৃতীয় আম্পায়ার শুভমনকে আউট দিয়েছেন। এক বার সেই সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরে ব্যাটার আর ব্যাট করতে না পারলেও কেউ যদি ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার হন, তা হলে কলকাতা পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন। প্রতারিত ব্যক্তির টাকা ফেরত পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

অস্ট্রেলিয়ার স্কট বোলান্ডের বল শুভমনের ব্যাটে লেগে স্লিপে যায়। গ্রিন ক্যাচ ধরেন। কিন্তু তাঁর ক্যাচ ধরার সময় বল মাটি ছুঁয়েছিল কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। যদিও তৃতীয় আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নেন যে গ্রিনের আঙুল বলের নীচে ছিল। তাই তিনি আউট দেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি শুভমন। আউট হওয়ার পরে টুইট করেছেন তিনি। গ্রিনের সেই ক্যাচের একটি ছবি দিয়েছেন। কোনও মন্তব্য না করলেও তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, যেখানে ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে বল মাটি ছুঁয়েছে, সেখানে কী ভাবে তাঁকে আউট দেওয়া হল! শুভমনের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় দল। মহম্মদ শামি বলেছেন, ‘‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আম্পায়ার আরও একটু সময় নিতে পারতেন। আমরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলছি। কোনও সাধারণ ম্যাচ নয় এটা। হালকা ভাবে নেওয়া যায় না। আরও ভাল করে পরীক্ষা করা উচিত ছিল। আরও জুম করে দেখা যেতে পারত। এটাও খেলার অঙ্গ, ঠিক আছে।’’

গ্রিন আবার দাবি করেছেন যে তিনি ক্যাচ ঠিক মতোই ধরেছিলেন। অসি ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘শুভমনের ক্যাচটা ঠিক ভাবেই ধরেছি। আমার সেটাই মনে হয়েছে। সেই মুহূর্তেও ক্যাচ ধরে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমার কোনও সংশয় ছিল না। তাই উচ্ছ্বাসে বলটা শূন্যে ছুড়ে দিয়েছিলাম। আউটের আবেদন করেছিলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তৃতীয় আম্পায়ারকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আউট দিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement