দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হওয়ার পরে হতাশ হয়ে ফিরছেন শুভমন গিল। ছবি: পিটিআই
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হার-জিতের থেকেও এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে শুভমন গিলের আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে। সত্যিই কি আউট ছিলেন ভারতীয় ব্যাটার? অস্ট্রেলিয়ার দাবি, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবরো। অন্য দিকে ভারতীয় দলের দাবি, পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে ক্যামেরন গ্রিন ক্যাচ নেওয়ার সময় বল মাটি ছুঁয়েছে। এই বিতর্কে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেই কথা বলেছেন তাদের প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তাঁর মতে, বল মাটি ছুঁয়েছিল। কিন্তু তার পরেও আউট ছিলেন শুভমন।
পন্টিংয়ের মতে, ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডার ক্যাচ ধরতে পেরেছেন কি না সেটা শুধু বল ধরার উপর নির্ভর করে না। পুরোটাই একটা প্রক্রিয়া। আম্পায়াররা পুরোটা খেয়াল করেন। আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পন্টিং বলেছেন, ‘‘প্রথমে দেখে আমার মনে হয়েছিল বল গ্রিনের কাছে পৌঁছেছে। কিন্তু পরে রিপ্লে দেখে বুঝতে পারি, বলের কিছুটা অংশ মাটি ছুঁয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার যদি দেখেন যে মাটি ছোঁয়ার আগে বলের উপর ফিল্ডারের পুরো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তা হলে সেটা আউট। এ ক্ষেত্রে আম্পায়ার সেটাই মনে করেছেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সঠিক।’’
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি শুভমন। আউট হওয়ার পরে টুইট করেছেন তিনি। গ্রিনের সেই ক্যাচের একটি ছবি দিয়েছেন। কোনও মন্তব্য না করলেও তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, যেখানে ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে বল মাটি ছুঁয়েছে, সেখানে কী ভাবে তাঁকে আউট দেওয়া হল! শুভমনের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় দল। মহম্মদ শামি বলেছেন, ‘‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আম্পায়ার আরও একটু সময় নিতে পারতেন। আমরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলছি। কোনও সাধারণ ম্যাচ নয় এটা। হালকা ভাবে নেওয়া যায় না। আরও ভাল করে পরীক্ষা করা উচিত ছিল। আরও জুম করে দেখা যেতে পারত। এটাও খেলার অঙ্গ, ঠিক আছে।’’
গ্রিন আবার দাবি করেছেন যে তিনি ক্যাচ ঠিক মতোই ধরেছিলেন। অসি ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘শুভমনের ক্যাচটা ঠিক ভাবেই ধরেছি। আমার সেটাই মনে হয়েছে। সেই মুহূর্তেও ক্যাচ ধরে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমার কোনও সংশয় ছিল না। তাই উচ্ছ্বাসে বলটা শূন্যে ছুড়ে দিয়েছিলাম। আউটের আবেদন করেছিলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তৃতীয় আম্পায়ারকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আউট দিয়েছেন।’’