SRH vs RR match today

শতরান ঈশানের, দু’রানের জন্য নিজেদের নজির নিজেরা ভাঙতে পারল না হায়দরাবাদ, রাজস্থানের সামনে লক্ষ্য ২৮৭

গত বছর যে জায়গায় শেষ করেছিল, এ বছর সেই জায়গা থেকেই শুরু করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রবিবার দুপুরের ম্যাচে হায়দরাবাদ ব্যাটারদের ঝড়ে উড়ে গেল রাজস্থান রয়্যালস। আগে ব্যাট করে ২৮৬/৬ তুলল হায়দরাবাদ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ১৭:৩০
cricket

শতরানের পর উল্লাস ঈশান কিশনের। ছবি: পিটিআই।

গত বছর যে জায়গায় শেষ করেছিল, এ বছর সেই জায়গা থেকেই শুরু করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রবিবার দুপুরের ম্যাচে হায়দরাবাদ ব্যাটারদের ঝড়ে উড়ে গেল রাজস্থান রয়্যালস। আগে ব্যাট করে ২৮৬/৬ তুলল হায়দরাবাদ। মাতিয়ে দিলেন ঈশান কিশন। শতরান করে নজর কেড়ে নিলেন ‘অবাধ্য’ ক্রিকেটার। বার্তা দিলেন নির্বাচকদেরও। আগ্রাসী ছন্দে দেখা গেল ট্রেভিস হেডকেও। তিনি অর্ধশতরান করলেন। রাজস্থানের সামনে লক্ষ্য ২৮৭ রান, যা তুলতে পারলে তারাই আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান স্পর্শ করবে বা পেরিয়ে যাবে।

Advertisement

আগের মরসুমে প্রতিটি ম্যাচেই আগ্রাসী ব্যাটিং দেখা গিয়েছিল হায়দরাবাদের। তিন বার আড়াইশোর বেশি রান তুলেছিল এবং ছ’বার দুশোর বেশি রান তুলেছিল তারা। যিনি ক্রিজ়‌ে আসছিলেন তিনিই হাত খুলে খেলছিলেন। এ বারও তার ব্যতিক্রম নেই। রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রত্যেকে ব্যাটারকেই আগ্রাসী ছন্দে দেখা গেল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাঁরাই নামলেন তাঁরাই চালিয়ে খেললেন।

গত আইপিএলে হেড এবং অভিষেক শর্মা যে ভাবে শুরুটা করে দিচ্ছিলেন, সেখানেই অর্ধেক কাজ হয়ে যাচ্ছিল হায়দরাবাদের। এ বার তাঁরা তো আছেনই। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ঈশান। ফলে আইপিএলের ভয়ঙ্করতম টপ অর্ডার হায়দরাবাদের। সেটা বোঝা গেল প্রথম ম্যাচেই।

প্রথম ওভারে ১০, দ্বিতীয় ওভারে ১৪, তৃতীয় ওভারে ২১। তিন ওভারেই উঠে গেল ৪৫ রান। হায়দরাবাদের ধ্বংসলীলা শুরু ওখান থেকেই। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে অভিষেক (২৪) আউট হতেও যা থামেনি। হেডের সঙ্গে যোগ দেন ঈশান। তিনি আরও ভয়ঙ্কর। দুই বাঁহাতি মিলে রাজস্থানের বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে দেন। ন’টি চার এবং তিনটি ছয় মেরে ৬৭ রানে আউট হন হেড। ঈশানের সঙ্গে যোগ দেওয়া নীতীশ রেড্ডিও আগ্রাসন ছাড়েননি। তিনিও শুরু থেকে চালাতে থাকেন। ১৫ বলে ৩০ করেন তিনি।

তবে নতুন দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়লেন। ক্রিজ়‌ নামার পর থেকে শেষ পর্যন্ত যে ভাবে আক্রমণাত্মক খেললেন, মাঠের চারদিকে শট মারলেন, তা নির্বাচকদের ভাবাতে বাধ্য।

রাজস্থানের হয়ে সবচেয়ে খারাপ বল করলেন জফ্রা আর্চার। তিন ওভারে ৫৭ রান দিলেন। ঈশান, হেড দু’জনেই তাঁর উপরে অতিরিক্ত নির্দয় ছিলেন। ভাল লাগল তুষার দেশপাণ্ডে এবং সন্দীপ শর্মার বোলিং। দু’জনেই বলের গতির হেরফের ঘটিয়ে হায়দরাবাদ ব্যাটারদের খুব একটা মারতে দিলেন না। তবে এক ওভারে নয় রান দেওয়া নীতীশ রানাকে আর বল করানো হল না।

Advertisement
আরও পড়ুন