Hanuma Vihari

সরফরাজ়ের পর ভারতীয় ক্রিকেটে আর এক ‘বিদ্রোহী’, রাজ্যের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত

সোমবার রঞ্জি ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তার পরেই রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে সেই দলের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন হনুমা বিহারী। কী লিখেছেন তিনি?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৯
cricket

সরফরাজ় খান। — ফাইল চিত্র।

সোমবার রঞ্জি ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তার পরেই রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে সেই দলের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন হনুমা বিহারী। চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ইঙ্গিত করেছেন, রাজনীতি করেই তাঁকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়েছে।

Advertisement

ম্যাচের পর একটি লম্বা পোস্ট করেন বিহারী। সেখানে তিনি লিখেছেন, “আমাদের সংস্থা বিশ্বাস করে তারা যা বলবে সেটাই ক্রিকেটারেরা মেনে চলবে। ওদের জন্য ক্রিকেটারেরা রয়েছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কোনও দিন অন্ধ্রের হয়ে খেলব না। আত্মসম্মান হারিয়েছি। দলটাকে ভালবাসি। প্রতিটা মরসুমে যে ভাবে উন্নতি করছে সেটাও পছন্দ করছি। কিন্তু সংস্থাই চায় না আমরা এগিয়ে যাই।”

ভারতের হয়ে ১৬টি টেস্ট খেলেছেন বিহারী। এ বার অন্ধ্রের অধিনায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের পরেই পদত্যাগ করেন। বাকি মরসুমে নেতৃত্ব দেন রিকি ভুই। তখন বিহারী বলেছিলেন, ব্যক্তিগত কারণে নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়েছেন। এখন জানালেন, রাজ্য সংস্থার চাপেই তাঁকে সরতে হয়েছে।

তিনি লিখেছেন, “বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক ছিলাম। সেই ম্যাচে দলের ১৭ নম্বর খেলোয়াড়ের উপর চিৎকার করেছিলাম। ও গিয়ে নিজের বাবাকে (যিনি একজন রাজনীতিবিদ) অভিযোগ করে। ওর বাবা রাজ্য সংস্থাকে নির্দেশ দেন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। গত বারের ফাইনালিস্ট বাংলার বিরুদ্ধে আমরা ৪১০ তাড়া করে জিতলেও কোনও কারণ ছাড়াই আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।”

তিনি আরও লিখেছেন, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেই ক্রিকেটারকে কিছুই বলিনি। কিন্তু রাজ্য সংস্থা ভেবেছে, গত বার যে দলকে বাঁচিয়েছে এবং দলের প্রয়োজনে বাঁ হাতে ব্যাট করেছে, যে অন্ধ্রকে গত সাত বারের মধ্যে পাঁচ বার নকআউটে তুলেছে এবং ভারতের হয়ে ১৬টা টেস্ট খেলেছে, তার থেকে অন্য আর একজন ক্রিকেটার বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

Advertisement
আরও পড়ুন