ইংল্যান্ডে অনুশীলনে নামলেন রোহিত। ছবি: টুইটার
আইপিএল-পর্ব শেষ। এ বার জাতীয় দলে ফেরার পালা। বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল খেলতে ভারতীয় দলের অনেক সদস্যই ইংল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছেন। গত দু’দিন ধরেই অনুশীলন চলছে জোরকদমে। সেই প্রস্তুতি কেমন চলছে, সে ব্যাপারে বিশদে জানালেন ভারতের তিন বিভাগের তিন কোচ।
মহম্মদ সিরাজ, শার্দূল ঠাকুর, অক্ষর পটেলের মতো বোলাররা প্রথম দফায় ইংল্যান্ডে গিয়েছেন। বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পুজারারাও রয়েছেন। বোলারদের মধ্যে মহম্মদ শামি, ব্যাটারদের মধ্যে শুভমন গিলের যাওয়া বাকি। মোট পাঁচ জন ক্রিকেটার তৃতীয় দফায় ইংল্যান্ডে যাচ্ছেন। প্রস্তুতিতে প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওয়ার্কলোডের ব্যাপারটি মাথায় রাখা হচ্ছে। চাপের কথা ভেবে বোলারদের বেশি বিশ্রাম দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
দলের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে বলেছেন, “প্রস্তুতি বেশ ভাল হচ্ছে। গত দুটো সেশন অনুশীলন করে আমরা খুবই খুশি। বোলারদের একটু কঠিন পরিশ্রম করিয়েছি। টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতির জন্যে যতটা দরকার ততটাই। যে পরিবেশ পেয়েছি তাতে খুশি। খুব ভাল মাঠ পেয়েছি। আবহাওয়াও ভাল। কখনও রোদ, কখনও হাওয়া দিচ্ছে আবার কখনও হালকা ঠান্ডা। ঠিক যে রকম ইংল্যান্ডে হয়ে থাকে।”
ভারতের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ জানিয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ক্লোজ-ইন ক্যাচিং অনুশীলন করানো হচ্ছে। অর্থাৎ স্লিপ, ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে যাতে কোনও ভাবে ক্যাচ না পড়ে তার অনুশীলন চলছে। দিলীপ বলেছেন, “সবাই আইপিএল খেলে আসছে। তাই প্রত্যেকের ওয়ার্কলোড আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কতটা ওরা দৌড়বে, কতটা যত্ন নিতে হবে সব ঠিক রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যা আমরা শুনেছি এবং দেখতে পেয়েছি যে, আইপিএলে গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ভাল হয়েছে। তাই ক্যাচিং, বিশেষত ক্লোজ-ইন ক্যাচিংয়ের দিকে আমাদের নজর থাকছে। আস্তে আস্তে এ ধরনের ক্যাচের অনুশীলন আমরা বাড়াব।”
ভারতের বোলিং কোচ জানিয়েছেন, আরও দু’টি সেশন রয়েছে তাদের হাতে। সেখানে বোলারদের দক্ষতা ঝালিয়ে নিতে চান তারা। নতুন যাঁরা যোগ দেবেন, তাঁরাও টেস্টের আগে এক-দুটো সেশন পাবেন তৈরি হয়ে নেওয়ার। মামব্রের কথায়, “আরও তিনটে সেশন আমরা পাব যেখানে বোলারদের দক্ষতা আরও ভাল ভাবে যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে।”
পড়ে থাকছে ব্যাটিং। কোচ বিক্রম রাঠৌর খুব একটা চিন্তিত নন। কারণ আইপিএলে কমবেশি সবাই রানের মধ্যে ছিলেন। তিনি বলেছেন, “ওরা সবাই অনেক ক্রিকেট খেলেছে। যে সময়টা আমরা পাচ্ছি সেখানে একটা ফরম্যাট থেকে আর একটা ফরম্যাটে খেলার মানসিকতা বদলটাই আসল।”