রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগে অনুশীলন পিচ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এই নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়াকে যেখানে নতুন পিচে অনুশীলন করতে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে ভারতীয় দলের জন্য ছিল পুরনো, ব্যবহৃত উইকেট। ভারত অধিনায়কের আশা, পরে তাঁদেরও নতুন পিচে অনুশীলন করতে দেওয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ় খেলছে ভারত। প্রথম তিনটি টেস্টের পর সিরিজ় ১-১। শেষ দু’টি টেস্ট মেলবোর্ন এবং সিডনিতে। এই দু’টি টেস্টের উপর নির্ভর করছে সিরিজ়ের ফলাফল। ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে মেলবোর্ন টেস্ট। মঙ্গলবার অনুশীলনের আগে রোহিত বলেন, “গত দু’দিন আমরা যে পিচে অনুশীলন করেছি, মনে হয় সেগুলো ব্যবহৃত পিচ ছিল। হয়তো বিগ ব্যাশ লিগের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার মনে হয় আমরা অব্যবহৃত পিচ পাব। মাত্র এক দিন অব্যবহৃত পিচে অনুশীলন করার সুযোগ পাব আমরা। দেখি গিয়ে অনুশীলনে কেমন পিচ, সেই অনুযায়ী অনুশীলন করব।”
ভারতকে যে অব্যবহৃত পিচ দেওয়া হয়নি তা নিয়ে আগেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। মেলবোর্ন টেস্টের আগে শনিবার ও রবিবার অনুশীলন করে ভারতীয় দল। সেখানে তাদের যে পিচ দেওয়া হয়েছিল তার বাউন্স খুব কম ছিল। বাউন্সার করার জন্য পেসারদের অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছিল। খুব কম বলই কোমরের উচ্চতায় উঠছিল। পিচের ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছিল, বেশ কয়েকটি জায়গা কালো হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, তা অব্যবহৃত পিচ নয়। পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতের পেসার আকাশ দীপ। তিনি বলেছিলেন, “দেখে মনে হচ্ছিল ওটা সাদা বলের উইকেট। বাউন্স ছিল না। পিচে অনেক ফাটল ছিল। পেসারদের খুব পরিশ্রম করতে হয়েছে। ম্যাচে যে উইকেট থাকে তার সঙ্গে এই উইকেটের অনেক তফাত।” ভারত অধিনায়কও মেনে নিলেন যে ভারতকে অব্যবহৃত পিচ দেওয়া হয়নি।
মেলবোর্ন টেস্টে কেমন পিচ থাকতে পারে? মেলবোর্নের পিচ প্রস্তুতকারক ম্যাট পেগ বলেন, “পিচে ৬ মিলিমিটার ঘাস রয়েছে। পিচ খুব একটা ভাঙবে না। গত কয়েকটা টেস্ট দেখলে বোঝা যাবে স্পিনারদের থেকে পেসারেরা অনেক বেশি সুবিধা পেয়েছে। সেটা এ বারও একই রকম থাকবে। আমরা চাইছি, ব্যাট ও বলের সমান লড়াই হোক। কেউ বাড়তি সুবিধা না পাক।” অর্থাৎ, ভারতের অনুশীলনে সমস্যা তৈরি করতেই প্রথম থেকে অব্যবহৃত পিচ দেওয়া হয়নি। যদিও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা অব্যবহৃত পিচেই অনুশীলন করছেন।