Surya Kumar Yadav

১৮ বলে অর্ধশতরান, বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলিকে ছাপিয়ে সূর্যই কি ভারতের প্রধান ভরসা?

সূর্যকুমার একের পর এক ম্যাচে রান করছেন। দলকে জেতাচ্ছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ১৮ বলে অর্ধশতরানের ইনিংস শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংকে বিপাকে ফেলল না, চিন্তা বাড়িয়ে দিল অন্য দেশের বোলারদেরও।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২২ ২০:৫৩
সূর্যকুমার যাদবের ঝোড়ো ইনিংস।

সূর্যকুমার যাদবের ঝোড়ো ইনিংস। ছবি: পিটিআই

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সূর্যকুমার যাদবের ইনিংস স্বস্তি দিচ্ছে ভারতীয় শিবিরকে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের ছাপিয়ে ধারবাহিকতা দেখাচ্ছেন তিনিই। একের পর এক ম্যাচে রান করছেন। দলকে জেতাচ্ছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ১৮ বলে অর্ধশতরানের ইনিংস শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংকে বিপাকে ফেলল না, চিন্তা বাড়িয়ে দিল অন্য দেশের বোলারদেরও। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সূর্য করেন ২২ বলে ৬১ রান।

রোহিত শর্মা এবং লোকেশ রাহুল আউট হওয়ার পর ভারতের স্কোর ছিল ১০৭ রানে দু’উইকেট। সেখান থেকে ভারতকে ২৩৭ রানের নিরাপদ স্কোরে পৌঁছে দেন সূর্যকুমার। মাত্র ১৮ বলে অর্ধশতরান করেন সূর্য। মাঠের কোনও প্রান্ত বাদ রাখেননি তিনি। এমন এমন শট খেলেছেন যা কোনও ক্রিকেট কোচিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শেখানো হয় না। উইকেটরক্ষকের মাথার পিছনে ছক্কা মেরেছেন। কোমরের উপরে থাকা বল আপার কাট করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি চার এবং পাঁচটি ছয় দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও পেসারকেই ছাড়েননি তিনি। কাগিসো রাবাডা, ওয়েন পার্নেল, লুঙ্গি এনগিডিরা ডেথ ওভারে বল করতে এসে একের পর এক বাউন্ডারি দিয়েছেন।

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামার আগে সূর্য প্রশংসা পেয়েছিলেন বিপক্ষের। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ-হাতি পেসার পার্নেল বলে যান, ‘‘গত দু’মাসে আমি যা দেখেছি, তার ভিত্তিতে বলব, সূর্যকুমারই এখন বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান।’’ কেন তিনি এ কথা বলেছেন, তাও জানিয়েছেন পার্নেল। দক্ষিণ আফ্রিকা পেসারের কথায়, ‘‘মাঠের ৩৬০ ডিগ্রি জুড়ে শট খেলতে পারে সূর্য। বোলারদের পক্ষে তাই ওকে আটকানো খুবই কঠিন কাজ।’’ ঠিক সেটাই হল।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ বলে ৬৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটার। সেই ম্যাচের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সূর্য। কিন্তু ম্যাচের সেরা হয়ে তিনি বলেছিলেন, “হঠাৎ করে আবহাওয়ায় বদল হয়েছিল। সেই সঙ্গে যাত্রার একটা ধকল ছিল। তাই পেটখারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি জানতাম এই ম্যাচেই সিরিজের ফয়সালা হবে। তাই চিকিৎসক ও ফিজিয়োকে বলেছিলাম, এটা যদি বিশ্বকাপের ফাইনাল হত, তা হলে কি আমি না খেলে থাকতে পারতাম! তাই আমাকে ওষুধ দিন, বা ইঞ্জেকশন, যে ভাবেই হোক আমাকে মাঠে নামতে হবে। ভারতের জার্সিতে যখন মাঠে নামি তখন আমার মধ্যে একটা অন্য আবেগ কাজ করে।”

এটাই সূর্যকুমার। যে ভাবেই হোক খেলতে হবে। যে ভাবেই হোক রান করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও সেটাই করলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যা ভারতকে স্বস্তি দিচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement