ক্যাচ ফস্কে হতাশ সিরাজ। —ফাইল চিত্র
সবার হাতে যেন মাখন লাগানো। ভারতীয় ফিল্ডাররা একের পর এক ক্যাচ ফেললেন। তার জেরেই লখনউয়ে প্রথম এক দিনের ম্যাচে বড় রান করতে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা। কী ভাবে ক্যাচ ধরতে হয়, তা মাঠের মধ্যেই শুভমন গিল, মহম্মদ সিরাজদের শিখিয়ে দিল স্থানীয় এক বলবয়।
গোটা ম্যাচে চারটি ক্যাচ ছাড়েন ভারতীয় ফিল্ডাররা। শুরু করেছিলেন শুভমন। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে খোঁচা মারেন জানেমন মালান। স্লিপে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ ছাড়েন শুভমন। নইলে প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়ে যেতেন শার্দুল ঠাকুর। তার পরে ম্যাচের ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে ডেভিড মিলারের ক্যাচ ছাড়েন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ক্যাচটি কঠিন হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ক্যাচ ধরতে দেখা যায় ফিল্ডারদের।
পরের ওভারে জোড়া ক্যাচ পড়ে। প্রথমে হেনরিখ ক্লাসেনের ক্যাচ ছাড়েন সিরাজ। তাঁর তালুতে লেগে বল বাইরে বেরিয়ে যায়। শুয়ে পড়ে অনেক চেষ্টা করেও সেই বল আর তালুবন্দি করতে পারেননি তিনি। পরের বলেই বড় শট মারতে যান মিলার। এ বার তাঁর ক্যাচ ছাড়েন রবি বিষ্ণোই। তিনি বুঝতেই পারেননি বল কোথায় পড়বে। তাই শেষ পর্যন্ত বলের কাছেই পৌঁছাতে পারেননি তিনি। পর পর দু’বলে ক্যাচ পড়ায় হতাশ দেখায় বোলার আবেশ খানকে।
কিন্তু সেই ওভারেই এক বলবয় দেখাল, কী ভাবে ক্যাচ ধরতে হয়। ওভারের চতুর্থ বলে আবার মিড উইকেটের উপর দিয়ে বড় শট খেলেন মিলার। বল গিয়ে পড়ে বাউন্ডারির বাইরে। সেখানে এক বলবয় দাঁড়িয়ে ছিল। সে সহজে বল তালুবন্দি করে। তার ক্যাচ ধরা দেখে দর্শকরাও হাততালি দেন। এমনকি ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলে ওঠেন, এত ক্ষণে বল ঠিক ফিল্ডারের কাছে গিয়েছে।