শনিবার সকালে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানলেন অশ্বিন। ছবি: টুইটার।
মীরপুরে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে শাকিব আল হাসানদের রান ৪ উইকেটে ৭১। ভারতের প্রথম ইনিংসের ৩১৪ রান থেকে এখনও ১৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে আয়োজকরা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ২২৭ রান। ওপেনার জ়াকির হাসান ছাড়া বাংলাদেশের কোনও ব্যাটারই তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেন না।
দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ছিল বিনা উইকেটে ৭। শনিবার শুরুতেই আউট হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁকে সাজঘরে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ব্যর্থ হলেন তিন নম্বরে নামা মোমিনুল হকও (৫)। তাঁকে আউট করলেন মহম্মদ সিরাজ়। রান পেলেন না অধিনায়ক শাকিবও। জয়দেব উনদকাটের বলে শুভমন গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন ১৩ রান করে। বিরতির সময় জ়াকিরের (অপরাজিত ৩৭) সঙ্গে ২২ গজে রয়েছেন লিটন দাস (অপরাজিত শূন্য)। তিনি নামার আগে উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। মাত্র ৯ রান করে তিনি আউট হয়েছেন অক্ষর পটেলের বলে।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম অক্ষর। ২ ওভার বল করে ২ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। উনদকাট ১১ রানে ১ উইকেট, সিরাজ় ২১ রানে ১ উইকেট এবং অশ্বিন ২৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। বোলারদের দাপটে দ্বিতীয় টেস্টেও সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন লোকেশ রাহুলরা। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে জিতেছিল ভারত। দুই টেস্টের সিরিজ়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন রাহুলরা।
শুক্রবার ভারতের ওপেনাররা শুরুতেই ফিরে গিয়েছিলেন। বিরাট কোহলি বা চেতেশ্বর পুজারাও বেশি রান করতে পারেননি। তবে ভারতের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান ঋষভ পন্থ এবং শ্রেয়স আয়ার। ২ জনেই নিশ্চিত শতরানের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। দলের ৯৪ রানের মাথায় কোহলি ফিরে যাওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে ১৫৭ রানের জুটি গড়েন পন্থ-আয়ার জুটি। পন্থ খেলছিলেন নিজের ভঙ্গিতেই। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকেন তিনি। ১০৪ বলে ৯৩ রানের ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার এবং ৫টি ছয়। মেহেদি হাসানের বলে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। শ্রেয়স ফিরে যান শাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। তিনি করেন ৮৭ রান। পরের দিকে ভারতের আর কোনও ব্যাটার দলকে টানতে পারেননি। ৩১৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত।