পন্থ, শ্রেয়সের শতরান হল না। ছবি: পিটিআই
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বেশি রানের লিড নিতে পারল না ভারত। কেএল রাহুলের দলের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেল ৩১৪ রানে। বাংলাদেশের থেকে মাত্র ৮৭ রানে এগিয়ে ইনিংস শেষ হল তাদের। দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেট ৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তারা এখনও পিছিয়ে ৮০ রানে।
ভারতের ওপেনাররা শুরুতেই ফিরে গিয়েছিলেন। বিরাট কোহলি বা চেতেশ্বর পুজারাও বেশি রান করতে পারেননি। তবে ভারতের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান ঋষভ পন্থ এবং শ্রেয়স আয়ার। ২ জনেই নিশ্চিত শতরানের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। ৯৪ রানের মাথায় কোহলি ফিরে যাওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে ১৫৭ রানের জুটি গড়েন পন্থ-আয়ার জুটি। পন্থ খেলছিলেন নিজের ভঙ্গিতেই। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকেন তিনি। ১০৪ বলে ৯৩ রানের ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার এবং ৫টি ছয়। মেহেদি হাসানের বলে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। শ্রেয়স ফিরে যান শাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।
পরের দিকে ভারতের আর কোনও ব্যাটার দলকে টানতে পারেননি। ৩১৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন শাকিব এবং তাইজুল ইসলাম। ব্যাট করতে নেমে ৬টি ওভার খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কোনও উইকেট না নিয়ে সাত রান তুলেছে তারা।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া টেস্টে বাংলাদেশকে অল্প রানে সাজঘরে ফিরিয়ে ব্যাট করতে নামে ভারত। দুই ওপেনার অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনে দুই ওপেনারের থেকে বড় রান চাইছিল ভারত। কিন্তু রাহুল ফেরেন ১০ রান করে এবং শুভমন করেন ২০ রান। দুই ওপেনারই এলবিডব্লিউ হন। সঠিক লেংথে বল করেই ভারতের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের স্পিনার।
পুজারাকেও আউট করেন তাইজুল। ভারতের তিন নম্বর ব্যাটারের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। তাঁদের থেকে বড় ইনিংসের অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু তাইজুলের বলে শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা মমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দেন পুজারা। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত জানতে চান মাঠের আম্পায়ার। রিপ্লেতে দেখা যায় মাটির খুব কাছ থেকে বল তুলে নেন মমিনুল। তবে তাঁর আঙুল বলের তলায় ছিল। তাই আউটের সিদ্ধান্তই দেন তৃতীয় আম্পায়ার। ২৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান পুজারা।
মধ্যাহ্নভোজে যাওয়ার ঠিক আগে আরও একটি উইকেট হারাতে পারত ভারত। রান আউট হতে হতে বেঁচে যান বিরাট। তিনি রান নেওয়ার জন্য ছুটে গেলেও পন্থ আসেননি। বিরাট আবার নিজের ক্রিজে ফিরে যান। বল উইকেটে লাগানোর আগেই ক্রিজে ঢুকে পড়ায় বেঁচে যান বিরাট।