রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
দেশের মাটিতে ১২টি দিন-রাতের টেস্ট খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। জিতেছে ১১টিতে। একমাত্র হার এ বছরই, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ব্রিসবেনে। তবু এত ভাল সাফল্য আর কোনও দলের নেই। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার এই দাপট ভাঙতে চাইছে ভারত। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে রোহিত স্পষ্ট জানালেন, রেকর্ড তৈরিই হয় ভাঙার জন্য।
গত বার অ্যাডিলেডে দিন-রাতের টেস্টে ৩৬ রানে অল আউট হয়েছিল ভারত। সেই লজ্জা নিয়ে আর খোঁচা দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না কেউ। বরং পার্থ টেস্টে জয়ের পর ভারতকে সমীহ করছেন অস্ট্রেলীয়রা।
রোহিত বলেছেন, “দল হিসাবে আমরা শুধু বর্তমানের কথাই ভাবি। জানি গোলাপি বলে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ভাল। তবে রেকর্ড তো তৈরিই হয় ভাঙার জন্য। সিরিজ়ের শুরুটা দারুণ করেছি আমরা। সেটাকে মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে চাই। লম্বা সময় ধরে সঠিক কাজ করে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। টেস্ট ক্রিকেটে সেটা গুরুত্বপূর্ণও। পার্থের মতো অ্যাডিলেডেও একই ভাবে খেললে আমরা জিততে পারি।”
গোলাপি বলে খুব যে সমস্যা হবে এমনটা মানছেন না রোহিত। তবে আলোর নীচে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন তিনি। ভারত অধিনায়কের কথায়, “বলের গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই আসল। আমরা লাল বলে প্রচুর খেলেছি। গোলাপি বল একটু আলাদা। তবে গত তিন দিন ধরে গোলাপি বলে অনুশীলন করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যত বেশি এই বলে খেলব তত বেশি মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাব।”
রোহিতের সংযোজন, “গোলাপি বলে চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। আলোর নীচে খেলতে সমস্যা হতে পারে। আমরা এটা নিয়ে কথাও বলেছি। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। যে সিদ্ধান্তই নিই না কেন, সেটা ঠিক প্রমাণিত করতে হবে। গোলাপি বলে অনেক ম্যাচ দেখেছি। আমরা জানি পরিস্থিতি কেমন থাকবে। ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলাবে জানি। সেটার জন্যও আমরা তৈরি।”
এ দিকে, প্রথম টেস্টে যে ভাবে যশস্বী জয়সওয়াল, ঋষভ পন্থ খেলেছেন, তা বাড়িতে বসে দেখে খুশি হয়েছেন রোহিত। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে তিনি বলেছেন, “ওরা আজকালকার ছেলেমেয়ে। ভয়ডরহীন মানসিকতা নিয়ে খেলে। কোনও বোঝা কাঁধে রাখে না। জয়সওয়াল, গিল, পন্থ— ওরা অন্য প্রজন্মের ক্রিকেটার। আমরা খেলা শুরু করার সময় শুধু ভাবতাম কী করে রান করব। নিজেরাই নিজেদের চাপে ফেলে দিতাম। ওরা সেটা কখনওই করে না। আসলে প্রতিটা প্রজন্মই আলাদা। এখনকার ছেলেরা অনেক আলাদা।”